অগ্রসর রিপোর্ট : দেশের উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি হ্রাস অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। এছাড়াও গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি হ্রাস অব্যাহত আছে বলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিশেষ বুলেটিনে আজ জানানো হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১১টায় বিশেষ বন্যা সতর্কীকরণ বুলেটিন-১৪- এ বলা হয়, গঙ্গা- ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা এই তিন অববাহিকার মধ্যে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের ভারতীয় ও বাংলাদেশ অংশে পানি হ্রাস অব্যাহত আছে, অপরদিকে মেঘনা অববাহিকার ভারতীয় অংশে পানি স্থিতিশীল রয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি সমতল নুনখাওয়া, চিলমারী, বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি এবং সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে পানি প্রবাহ হ্রাস অব্যাহত আছে। ঢাকার চতুর্দিকের নদ-নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করেছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনার ভারতীয় অংশের আগামী ২৪-৩৬ ঘণ্টায় গড়ে ১৫ সেমি. পানি হ্রাস পেতে পারে। বাংলাদেশ অংশের ব্রহ্মপুত্র-যমুনার বিভিন্ন্ পয়েন্টে আগামী ৭২ ঘণ্টায় হ্রাস অব্যাহত থাকবে। গঙ্গা- পদ্মা নদীর পানি সমতলও আগামী ৭২ ঘণ্টায় হ্রাস অব্যাহত থাকবে।
দেশের উত্তর অঞ্চলের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির (কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ) উন্নতি অব্যাহত থাকবে। পদ্মা নদীর পানি সমতল কমতে শুরু করায় দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলের (মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মুন্সিগঞ্জ,শরীয়তপুর) নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মধ্যাঞ্চলের ঢাকার চতুর্দিকের নদ-নদীগুলো- বুড়িগঙ্গা,বালু,তুরাগ,টুংগিখাল বিপদসীমার যথাক্রমে ৮৫ সে.মি., ১৫ সে.মি., ১৩ সে.মি. এবং ৯ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঢাকার চতুর্দিকের নদীগুলোর পানি সমতল হ্রাস আগামী ৪৮ ঘন্টায় অব্যাহত থাকবে। অপরদিকে শীতলক্ষ্যা নদী নারায়ণগঞ্জে বিপদসীমার ১৪ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও মেঘনা অববাহিকার নদীসমূহের মধ্যে কুশিয়ারা, মনু ও খোয়াই নদীর পানি আগামী ২৪ ঘন্টায় কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।