রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, এ প্রকল্প দেশের প্রথম স্মার্ট নগরীকে পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও ইকো-বান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তিনি জানান, এই নগরীর প্রায় ৬০ একর জমিতে ১৪২-তলাবিশিষ্ট একটি ‘আইকনিক টাওয়ার’ নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ৭০ হাজার দর্শক ধারণে সক্ষম একটি স্টেডিয়ামও নির্মাণ করা হবে। এখানে দেশের বৃহত্তম স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে একটি সেক্টরও চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে এবং সহজে যাতায়াতের জন্য মেট্রোরেলের সংযোগ থাকবে।
রাজউক চেয়ারম্যান জানান, এখানে দেশের বৃহত্তম প্রদর্শনী কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে, যা ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজনেও ব্যবহার করা হবে। এই প্রকল্পের নিজস্ব সলিড ওয়াস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, সুষ্ঠু গণপরিবহন, উন্নতমানের আবাসিক ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেবা ও শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। তিনি জানান, প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে পূর্বাচল হবে দেশের সেরা পরিকল্পিত নগরী। এতে প্রায় ৬ হাজার ২২৮ একর জমিতে ৩০টি সেক্টর থাকবে। প্রকল্পটি নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার শীতলক্ষ্যা ও গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বালু নদীর কাছে বিস্তীর্ণ এলাকার মধ্যে অবস্থিত।
রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) মো. আবদুর রহমান জানান, পূর্বাচল নতুন শহরে ২৭ হাজার ৬৮টি প্লট রয়েছে। এর মধ্যে ২৫ হাজার ১৬টি আবাসিক প্লট ও ১ হাজার ৯৯২টি অন্যান্য প্লট। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের প্রায় ৮৫ শতাংশ জমির উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সরকারি সূত্র জানায়, প্রকল্পের ভেতর ও বাইরে প্রায় ৪৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার লেকের উন্নয়ন করা হবে। রাজউক ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজের ডিজাইন অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্লট মালিকদের কাছে আবেদনপত্র আহ্বান করেছে এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্লট মালিক তাদের ডিজাইনের অনুমোদন পেয়েছেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।