অগ্রসর রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত ও আইন-শৃংখলা বজায় রাখতে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আজ তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক ইফতার মাহফিলে বক্তৃতাকালে বলেন, ‘রমজান হলো দোয়া কবুলের মাস। আমরা চাই আপনারা বাংলাদেশ যে পথে অগ্রসর হচ্ছে আমরা যেনো সে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত ও দেশের আইন-শৃংখলা বজায় রাখতে পারি, সেজন্য দোয়া করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী আজ বিচারপতি, কূটনীতিক এবং উচ্চপদস্থ বেসমারিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সম্মানে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার জনগণের জীবনে শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের সমাজ সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত থাকুক।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি- ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’-এর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব সময় এ নীতি মেনে চলি এবং সকলের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।’
সবাইকে আগাম ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কিছু বিদেশ সফরের কারণে ঈদ উৎসবের সময় তিনি দেশে থাকতে পারছেন না।
৭ জুন দেশে ফিরবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত যে, বেশ কিছু বিদেশ সফর থাকায় ঈদে আমি দেশে থাকতে পারছি না। প্রথমে আমি জাপান যাবো, এরপর ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আমি সৌদি আরব যাবো এবং সেখান থেকে আমি ফিনল্যান্ড যাবো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু ঈদের সময় থাকতে পারছি না, সেহেতু এ ইফতার মাহফিল থেকে আমি আগেভাগে দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের আমার আন্তরিক ঈদ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা সকলের মঙ্গল ও সুস্বাস্থ্য এবং দেশে শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
ইফতারের আগে দেশ ও জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের চিরশান্তি ও আত্মার মাগফেরাত এবং প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেও মোনাজাত করা হয়।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক এইচ টি ইমাম, নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, তিন বাহিনীর প্রধানগণ ও কূটনৈতিক কোরের ডিনরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ, এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ ইফতারে যোগদান করেন।