অগ্রসর রিপোর্ট : ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ফিলিস্তিনের সাথে তার দেশের দীর্ঘদিন ধরে চলা সংঘাত নিরসনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা ‘বিবেচনা’ করতে প্রস্তুত রয়েছেন। খবর এএফপি’র।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের সঙ্গে বৈঠকের পর রোববার তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষ ও খোলাখুলিভাবে আমেরিকার প্রস্তাব বিবেচনা করবো।’
এদিকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয়ায় ওয়াশিংটনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব ইতোমধ্যে এ শান্তি পরিকল্পনা প্রত্যাখান করেছে।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এ শান্তি পরিকল্পনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানার আগেই ফিলিস্তিন কিভাবে তা প্রত্যাখান করে আমি এটা বুঝতে পারছি না।’
‘এমনটা ভাবলে আপনারা কোনভাবেই সামনে অগ্রসর হতে পারবেন না।’
ইসরাইল অধিকৃত ভূখন্ড জর্ডান উপত্যকা সফরকালে তিনি শান্তি পরিকল্পনা কখনো পরিত্যাগ না করার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে শান্তি অর্জনে কেউ যদি বলে ইসরাইলকে অবশ্যই জর্ডান উপত্যকা ছেড়ে চলে যেতে হবে, তাহলে আমি বলবো এতে শান্তি আসবে না বরং এতে যুদ্ধ বাঁধবে এবং ও সন্ত্রাসী হামলা হবে।’
নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইসরাইলের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য এখানে তাদের উপস্থিতি অবশ্যই অব্যাহত থাকবে।’
তেলবাহী ট্যাঙ্কারে একের পর এক হামলা চালানোর এবং আমেরিকার একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে বোল্টন এ সফরে আসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও উপদেষ্টা জারাড কুশনার প্রণীত দীর্ঘ প্রতীক্ষিত শান্তি উদ্যোগের বিষয়বস্তু এই প্রথমবারের মতো হোয়াইট হাউস আগামী সপ্তাহে বিস্তারিত উপস্থাপন করতে যাচ্ছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এই শান্তি পরিকল্পনার লক্ষ্য হচ্ছে এক দশকের মধ্যে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিকের কর্মসংস্থান করা।
কিন্তু ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ বাহরাইনে আয়োজিত তথাকথিত ‘পিস টু প্রোসপারিটি’ ওয়ার্কশপ বর্জন করছে।
ফিলিস্তিনিরা তাদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিকে পাশ কাটিয়ে অর্থের বিনিময়ে তাদেরকে ক্রয়ের চেষ্টার জন্যে ট্রাম্পকে দায়ী করে।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস রোববার বলেন, বাহরাইন সম্মেলন ব্যর্থ হবে সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন থাকলেও সবকিছুর আগে এর একটি রাজনৈতিক সমাধান হওয়া উচিত।’