অগ্রসর রিপোর্ট :ভারতের ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির রাজপথে কুচকাওয়াজ বাংলাদেশের সেনাদলের। এই প্রথম ভারতের সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশগ্রহণ করল বাংলাদেশ। এই প্যারেডে বাংলাদেশের বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু মহম্মদ শাহনুর শাওন। চলতি বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করছে বাংলাদেশ। আর এই বছরই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। ভারতের সাধারণতন্ত্র দিবসে এই নিয়ে তৃতীয়বার অন্য কোনও দেশের সেনা অংশগ্রহণ করল। এর আগে ২০১৬ সালে ফ্রান্স অংশ নিয়েছিল। আর ২০১৭ সালে অংশগ্রহণ করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে সম্মান জানাতেই কুচকাওয়াজে শামিল হয়েছে বাংলাদেশের সেনাদল। সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজপথে শক্তিপ্রদর্শন করেছে ভারতীয় সেনা। শত্রুর বুক কাঁপিয়ে রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করেছে টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্ক। ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে অত্যাধুনিক ব্রহ্মস মিসাইল। শক্তি দেখিয়েছে ভারতের অত্যাধুনিক হাতিয়ার পিনাকা রকেট লঞ্চার ও শিল্কা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।
এদিকে ভারতের ৭২তম সাধারণতন্ত্র দিবসে ব্রিটেন থেকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বছর সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন তিনি।কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির জেরে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি। এ নিয়ে বার্তায় দুঃখ প্রকাশ করে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন বরিস জনসন। তিনি জানিয়েছেন, এই অসাধারণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে আগ্রহী ছিলেন। বন্ধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণও গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির জন্য ভারতে আসতে পারলেন না। ২৬ জানুয়ারিকে ব্যতিক্রমী এক সংবিধানের জন্মদিন বলেও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।পাশাপাশি ওই ভিডিও বার্তায় করোনার বিরুদ্ধে যৌথ লড়াইয়েরও বার্তা দিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, করোনার বিরুদ্ধে ভারত-ব্রিটেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছে। ভ্যাকসিন নিয়ে যৌথভাবে গবেষণা, উৎপাদন ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সেই টিকা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। যাতে দ্রুত গোটা মানবজাতিকে কোভিড-মুক্ত করা যায়। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর আশা, খুব শীঘ্রই গোটা বিশ্বকে করোনা মুক্ত করা যাবে। চলতি বছরের শেষে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে আসতে পারেন বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।