অগ্রসর রিপোর্ট :উপমহাদেশের কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এক শোক বার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে আজ বুধবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে দিলীপ কুমার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর।
১৯২২ সালে অবিভক্ত ভারতের কিসসা খাওয়ানি বাজারের সম্ভ্রান্ত জমিদার তথা ফল ব্যবসায়ী লালা গোলাম সারওয়ার খান ও আয়েশা বেগমের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন বলিউডের এই প্রবাদপ্রতীম অভিনেতা। জন্মসূত্রে তার নাম মুহাম্মদ ইউসুফ খান হলেও রুপালি পর্দায় তিনি পরিচিত ছিলেন দিলীপ কুমার হিসেবে।
অভিনেতা দিলীপ কুমারের বলিউডে আত্মপ্রকাশ ১৯৪৪ সালে ‘জোয়ার ভাটা’ সিনেমার মাধ্যমে। তবে, নায়ক হিসেবে তাকে পরিচিতি দেয় ১৯৪৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘জুগনু’ চলচ্চিত্র।
তারপর থেকেই বলিউডে শুরু হয় দিলীপ কুমারের ‘নয়া দওর’। তিনি চলচ্চিত্র জগতে ছয় দশকের অধিক সময় ধরে বিচরণ করেছেন এবং অভিনয় করেছেন ৬০টির বেশি ছায়াছবিতে।
তিনি বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্রময় ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, যেমন- রোমান্টিক ধাঁচের চলচ্চিত্র হিসেবে ১৯৪৯ সালের আন্দাজ, ১৯৫২ সালের বেপরোয়া বা হঠকারী এবং চালবাজ চরিত্রে আন, ১৯৫৫ সালে নাটকীয় চলচ্চিত্র দেবদাস, ১৯৫৫ সালের হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র আজাদ, ১৯৬০ সালে ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র ‘মুঘল-এ-আজম এবং ১৯৬১ সালের সামাজিক ঘরানার চলচ্চিত্র গঙ্গা যমুনা-তে। ‘মধুমতী’ থেকে ‘ক্রান্তি’, ‘মশাল’, ‘কর্মা’, ‘সওদাগর’, ‘কিলা’
দিলীপ কুমার দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
মুম্বাইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। গত ২৯ জুন অভিনেতা দিলীপ কুমারকে হিন্দুজা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র-আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল। এর ১৮ দিন আগে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছিলেন তিনি।