স্টাফ রিপোর্টার: গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে এই দূষণের মাত্রা কমেছে। কিন্তু একই সময়ে বাংলাদেশ-সহ এশিয়ার কিছু দেশে দূষণের হার বেড়েছে। খবর বিবিসির।
বিবিসের খবরে বলা হয়, গত দশ বছর ধরে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা’র একটি স্যাটেলাইটের পর্যালোচনায় এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। অরা মিশন নামের এই স্যাটেলাইটটি ২০০৪ সালে উৎক্ষেপণ করা হয় বিশ্বজুড়ে নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইডের নিঃসরণ পর্যবেক্ষণ করতে।
পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে এই দূষণের মাত্রা কমেছে। তবে বেড়েছে বাংলাদেশসহ এশিয়ার কিছু দেশে দূষণের হার বেড়েছে। বিশেষ করে দেশটির রাজধানী ঢাকায় এই দূষণের হার গত দশ বছরে বেড়েছে শতকরা আশি ভাগ পর্যন্ত। আর চীনে এই বৃদ্ধির হার শতকরা ২৫ ভাগ।
অপরপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে গত দশ বছরে নাইট্রোজেন দূষণের হার কমে গেছে শতকরা কুড়ি থেকে পঞ্চাশ ভাগ পর্যন্ত।
সার্বিক বিচারে গত দশ বছরে বিশ্বে গড়ে এই গ্যাসের দূষণ অবশ্য কমেছে শতকরা ১৪ ভাগ হারে।
নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড গ্যাস মূলত জীবাশ্ম জ্বালানী পোড়ানোর ফলে নিঃসরিত হয়। সংক্ষেপে এনওটু নামে পরিচিত এই গ্যাসটির মূল উৎস গাড়ির নির্গমন পাইপ ও কয়লা পোড়ানো হয় এমন শিল্প কারখানা। হলদে-বাদামী এই গ্যাস মানুষের শ্বাসযন্ত্রে মারাত্মক প্রদাহের কারণ। এটি বায়ুমণ্ডলের নিম্নভাগে ওজোন গ্যাস বাড়াতেও ভূমিকা রাখে।
অরা মিশন থেকে প্রাপ্ত গত দশ বছরের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এর ফলাফল আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের এক বৈঠকে উপস্থাপন করেন বিজ্ঞানীরা।