এ আইনগুলোর মধ্যে প্রথম অধিবেশনে ২টি, দ্বিতীয় অধিবেশনে ৬টি, তৃতীয় অধিবেশনে ৫টি, চতুর্থ অধিবেশনে ৬টি, পঞ্চম অধিবেশনে ৮টি, ষষ্ঠ অধিবেশনে ৫টি , সপ্তম অধিবেশনে ৬টি, অষ্টম অধিবেশনে ১০টি, নবম অধিবেশনে ৯টি দশম অধিবেশনে ১৪টি, একাদশ অধিবেশনে ১৬টি, ১২তম অধিবেশনে ৬টি ও ১৩তম অধিবেশনে ৫টি আইন পাস করা করা হয়। এসব আইন ইতোমধ্যে কার্যকরও করা হচ্ছে।
এসব আইনের মধ্যে সম্পূর্ণ নতুন আইনের মধ্যে রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন ২০১৪, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্ট আইন ২০১৪ , পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আইন ২০১৪, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আইন ২০১৪,বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (সংশোধন) আইন ২০১৪ , ডিঅক্সিরাইবেউক্লিক আইন ২০১৪ ,বাংলাদেশ পরমানু শক্তি নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন ২০১৪, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ আইন ২০১৪, সংবিধান ষোড়শ সংশোধন) আইন ২০১৪,উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন ২০১৪, বাংলাদেশ হোটেল ও রেস্তোরা আইন ২০১৪, রাজশাহী কৃষি উন্ন ব্যাংক আইন ২০১৪, মেট্রো রেল আইন ২০১৫, বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষনা আইন ২০১৫, বিদ্যুৎ জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন ২০১৫, ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৫, সরকারি যানবাহন (ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৫, বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনষ্টিটিউট আইন ২০১৫, যুব সংগঠন (নিবন্ধন ও পরিচালনা) আইন ২০১৫, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিল ২০১৫, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আইন ২০১৫, ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন আইন ২০১৫, পরমানু বিদ্যুৎ কেন্দ্র আইন ২০১৫, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ আইন আইন ২০১৫, ভ্যাট ও সম্পুরক শুল্ক আইন ২০১৫, রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনী আইন ২০১৬, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও কারিগরি ফেলোশীপ আইন ২০১৬, এশিয়ান ইনফ্রাস্টাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক আইন ২০১৬, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড আইন ২০১৬, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৬, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৬, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ আইন ২০১৬, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ আইন ২০১৬ পেট্রোলিয়াম আইন ২০১৬, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৬, রেলওয়ে সম্পত্তি (অবৈধ দখল উদ্ধার) আইন ২০১৬, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৬ ও চা বিল ২০১৬।
এছাড়া বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত ও স্বল্প সময়ে জনগণের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ব্রিটিশ আমলে প্রণীত বিভিন্ন আইন সংশোধন এবং আমূল পরিবর্তন করে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
এদিকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, বিএনপি আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যাসহ দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির মধ্যে দেশের সংবিধান, গণতন্ত্র, আইনের শাসন সমুন্নত সর্বোপরি দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ১০ম জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ আইন প্রণয়নসহ জাতীয় উন্নয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়ন ও দিকনির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান সংসদে গত ১৩টি অধিবেশনে ৯৬ টি আইন পাস নি:সন্দেহে আইন সভার কৃতিত্ব । আর এটা সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার জন্যও অত্যন্ত ইতিবাচক ।
তিনি বলেন, এছাড়া এসরকারের বিগত আমলে নবম জাতীয় সংসদে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাসের মাধ্যমে ’৭২ এর সংবিধানের মূল নীতিগুলো ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশে স্বাধীনতা ও মুক্তি যুদ্ধের মূল্যবোধ পুন:প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সংসদ গঠন এবং প্রথম অধিবেশন থেকেই সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলো কার্যকর রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনার প্রস্তাবমত প্রথম অধিবেশনেই সব কটি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়। এর ফলে সরকারের কর্মকান্ডের সচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে।