অগ্রসর রিপোর্ট: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের বৈঠকে নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বঙ্গভবনে আজ রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ সংশ্লিষ্টদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাকি সদস্যদের নাম চূড়ান্ত করা হবে।
এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশ এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ সংকট উত্তরণে যত দ্রুত সম্ভব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা জরুরি।
এসময় উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যান্য সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা এবং অন্তবর্তীকালীন সরকারে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মনোনয়ন দেওয়ার পরামর্শ দেন। রাষ্ট্রপতি সংকট উত্তরণে দেশবাসীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম জানান, সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করা হবে। এতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে এই সরকার গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
নাহিদ আরও বলেন, ড. ইউনূসের একটি মেজর অপারেশন হয়েছে। তাই তিনি এখনো আসতে পারেননি। তবে আগামীকাল বা পরশু দেশে ফিরলেই শপথ অনুষ্ঠান হবে। তার আগেই সরকারের পূর্ণ তালিকা হবে।
সকলের প্রতি অনুরোধ কোউ কোন সরকারি স্থাপনায় হামলায় জড়াবেন না। প্রয়োজনে থানাগুলো পাহারা দেবেন। যারা গণহত্যায় জড়িত তাদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান নাহিদ।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ জন সমন্বয়ক সভায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।