অগ্রসর রিপোর্ট: ডি-৮ সদস্য দেশগুলোকে ব্যবসা-বাণিজ্য, যুব উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার বিকালে গণভবন থেকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে (ভার্চুয়াল) এ আহ্বান জানান তিনি।
এটি ডি-৮ এর ১০ম সম্মেলন। বাংলাদেশে এটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি বৈঠক শুরু হয়েছে।
বিকাল ৩টার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নিয়েছেন জোটের সদস্য দেশ মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ সিসি, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ বুহারি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে যুব শক্তিকে কাজে লাগানো, তথ্য প্রযুক্তি সম্ভবনার পূর্ণ ব্যবহার, প্রয়োজনীয় আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক ও অবকাঠামোগত কাঠামো তৈরি, কানেক্টিভিটি বাড়ানো, ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ব্যবসায়িক ধারণা, মডেল, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিতে তরুণদের শক্তি এবং সম্ভবনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেসরকারি, এমনকি সরকারি থেকে বেসরকারি পর্যায়েও ব্যবসা উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের দেশগুলোর (ডি-৮) যুবকদের একত্রিত হতে উৎসাহিত করা যেতে পারে। ডি-৮ বিজনেস ফোরামের সঙ্গে প্রথম ডি-৮ ইয়ুথ সম্মেলনটি একটি বিরল সুযোগ তৈরি করেছে।’
‘চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের তথ্য প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে কার্যকরী পার্টনারশিপ এবং বৃহত্তর সহযোগিতা প্রয়োজন’- বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে যুবকদের খুব ভালো সম্পৃক্ততা কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও আমাদের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে।’
বাংলাদেশ গত একদশকে তথ্য প্রযুক্তির ওপর জোর দিয়েছে এবং দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
ডি-৮ সদস্য দেশগুলোকে বাণিজ্য বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডি-৮ সেক্রেটারিয়েট সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ক্ষেত্রে সম্ভবনার তথ্য সরবরাহ করতে পারে। এই ধরনের তথ্য সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আরও বেশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ করতে সহায়তা করবে।’
এসময় ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন করে কার্যকরী এবং টেকসই উন্নয়নে ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে জলবায়ু ইস্যুতে সহযোগিতা করার করার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
বক্তব্যে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সব দেশকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এই সমস্যা বাংলাদেশের পরিবেশ, সমাজ এবং অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এই সংকটের সমাধান না হলে এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারকে চাপ দিতে ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর প্রতি অনুরোধ করেন শেখ হাসিনা।