লস এঞ্জেলেসে শিক্ষার্থীরা বয়লি হাইটসে অবস্থিত একটি প্লাজা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল করে। এলাকাটিতে হিস্পানিকরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। মিছিলের সময় তাদের হাতে বিভিন্ন প্লাকার্ড ছিল। এতে লেখা ছিল-‘জেগে ওঠো’ এবং ‘ঐক্যবদ্ধ হও’। তাদের হাতে আমেরিকা ও মেক্সিকোর পতাকাও ছিল।
মেরিল্যান্ডের সিলভার স্প্রিং ও অরেগনের পোর্টল্যান্ডেও একই ধরণের বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর গত এক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে বিক্ষোভ হচ্ছে।
লস এঞ্জেলেসে বিভিন্ন স্কুলের কর্মকর্তারা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভে অংশ না নিতে এবং ক্ষোভ প্রকাশের আলাদা উপায় খুঁজে বের করার পরামর্শ দেয়া সত্ত্বেও সেখানে বিক্ষোভ হয়েছে।
লস এঞ্জেলেস ইউনিফাইড স্কুল ডিস্ট্রিক্ট সুপার মিশেল কিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছে প্রায় এক সপ্তাহ হতে চললো। তবে অনেক শিক্ষার্থী নির্বাচনের ফল নিয়ে এখনও উদ্বিগ্ন এবং তারা চায়, তাদের কথা শোনা হোক।
তিনি বলেন, এখন গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ প্রয়োজন। আমরা চাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা জানুক, তারা একা নয়। যাই হোক, শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করে এমন কর্মকান্ড শিক্ষার্থীদের করা উচিত হবে না।
মেরিল্যান্ডের স্থানীয় গণমাধ্যমে দেখানো হয়েছে, পাঁচটি হাইস্কুলের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী সিলভার স্প্রিং শহরে মিছিল করছে। তাদের হাতে থাকা প্লাকার্ডে লেখা রয়েছে, ‘ট্রাম্প আমাদের প্রেসিডেন্ট না’। তারা যান চলাচলেও বাধা সৃষ্টি করে। পথচারিদেরকে এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উৎসাহব্যাঞ্জক কথা বলতে শোনা যায় এবং অনেক গাড়ি চালক হর্ন বাজিয়ে তাদের স্বাগত জানায়।
শিক্ষার্থীদের বলতে শোনা যায়, ‘আমরা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে প্রত্যাখান করছি।’
মেরিল্যান্ডের স্কুল কর্মকর্তারা জানান, স্কুলে অনুপস্থিত থাকার উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারলে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে।
ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দেশব্যাপী ধারাবাহিক বিক্ষোভের অংশ হিসেবে সোমবার এ বিক্ষোভ হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণাকালে অভিবাসী, মুসলিম ও নারীদের নিয়ে অশোভন ও বাগাড়ম্বর মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ফলে তিনি বিজয়ী হওয়ায় অনেকে ভীত হয়ে পড়েছেন। এ কারণেই বিক্ষোভ হচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন।