অগ্রসর রিপোর্ট: কক্সবাজারের টেকনাফে খালে মাছ ধরতে যাওয়া আট জেলেকে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। ভুক্তভোগীদের স্বজনরা জানিয়েছেন, অপহরণের পর মুঠোফোনে কল করে মুক্তিপণ হিসেবে তাদের কাছে তিন লাখ টাকা করে দাবি করা হচ্ছে।
সোমবার বেলা ১১টায় টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হালিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অপহরণের শিকার আটজন হলেন- টেকনাফের উপকূলীয় বাহারছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা রশিদ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ, ছৈয়দ আমিরের ছেলে মোস্তফা কামাল, তার ভাই করিম উল্লাহ, মমতাজ মিয়ার ছেলে মো রিদুয়ান, রুস্তম আলীর ছেলে সলিম উল্লাহ, কাদের হোসেনের ছেলে নুরুল হক, রশিদ আহমদের ছেলে নুরুল আবছার ও নুরুল হকের ছেলে নুর মোহাম্মদ।
ভুক্তভোগীদের স্বজনদের বরাত দিয়ে ওসি হালিম জানান, রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড়ের বনিরছড়া খালে মাছ শিকারে যান আটজন। সেখান থেকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাদের ধরে নিয়ে গেছে। অস্ত্রের মুখে মুখোশধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাদের জিম্মি করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়।
মোস্তফা ও করিম নামে দুই ভাই অপহৃত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তাদের বড় ভাই হাবিব উল্লাহ।
তিনি জানান, পাহাড়ের ছড়ার খালে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে পাহাড় থেকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা নেমে এসে তাদের জিম্মি করে। পরে তাদের অপহরণ করে পাহাড়ের ভেতরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে মুঠোফোনে জানান মোস্তফা। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ। পরে ভিন্ন ভিন্ন নম্বর থেকে কল করে মুক্তিপণ হিসেবে তিন লাখ টাকা দাবি করছে।
বাহারছড়ার ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হুমায়ুন কাদের বলেন, ‘আটজনের কাউকে এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মাছ শিকার করতে গিয়ে তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত ফেরত না আসার বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করেছে পরিবারগুলো।’
এ বিষয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মশিউর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’