অগ্রসর রিপোর্ট: মিয়ানমারের নৌবাহিনীর হাতে বাংলাদেশি জেলে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা।সরকারে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বুধবার টেকনাফ উপজেলার কোনা পাড়া, শাহ পরী দ্বীপে ওসমান (৬০) নামে একজন বাংলাদেশি জেলেকে হত্যার ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমার সরকারের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসে পাঠানো এক কূটনৈতিক নোটে বলা হয়েছে, ‘এই মর্মান্তিক ঘটনায় বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।’
এতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের জলসীমার অখণ্ডতাকে সম্পূর্ণভাবে সম্মান করতে এবং আর কোনো উসকানি থেকে বিরত থাকতে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নোটটিতে টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে মাছ ধরার সময় ওসমানের মালিকানাধীন একটিসহ ৫৮ বাংলাদেশি জেলে ও ছয়টি মাছ ধরার নৌকা অপহরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও মিয়ানমার নৌবাহিনীর মধ্যে যোগাযোগের পর অবশেষে গতকাল দুই দফায় নৌকাসহ জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা এই ধরনের অযৌক্তিক কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মিয়ানমারকে আহ্বান জানিয়েছে।
গত বুধবার দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামের বঙ্গোপসাগর মোহনায় বাংলাদেশের মাছ ধরার ট্রলারে মিয়ানমার উপকূল থেকে গুলিবর্ষণ করে দেশটির নৌবাহিনী। এতে একজন নিহত হন। আহত হন তিন জেলে। এ সময় অর্ধশতাধিক মাঝি-মাল্লাসহ ৬টি ট্রলার মিয়ানমারে নিয়ে যায় দেশটির নৌবাহিনী। পরে ট্রলারসহ অন্য মাঝিদের ছেড়ে দেয় মিয়ানমার।
নিহত মো. ওসমান শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচু মিয়ার ছেলে। তিনি শাহপরীর দ্বীপের বাজারপাড়া এলাকার সাইফুল কোম্পানির মালিকাধীন ট্রলারের জেলে।