অগ্রসর রিপোর্ট : বিপুল পরিমাণ অর্থ, মাদক ও অস্ত্রসহ আটক যুবলীগ নেতা কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে র্যাব।
শনিবার বিকাল তিনটা থেকে চারটার মধ্যে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। গুলশান থানার এএসআই ফারুক ঢাকাটাইমসকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদের অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং আইনে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। মামলায় শামীমের সাত বডিগার্ডকেও আসামি করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরের পর জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গুলশান থানায় নিয়ে আসেন র্যাব সদস্যরা। সেখানে তাদের রাখা হয় থানাহাজতে।
গুলশান থানা সূত্রে জানা গেছে, এসব মামলায় শামীমসহ আটজনকে রিমান্ডে চাইবে পুলিশ।
শুক্রবারের অভিযানে শামীমের অফিস থেকে এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত) পাওয়া যায়, যার মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে। পাওয়া যায় মার্কিন ডলার, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র।
চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ থাকা রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা শামীমকে ধরতে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে সাদা পোশাকে শুরু হয় র্যাবের অভিযান। বিকাল সাড়ে ৪টায় অভিযান শেষে শামীমসহ আটজনকে আটক করার কথা জানায় র্যব।
জি কে শামীমকে আটকের পর র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, ‘যদি তিনি নির্দোষ হন, তাহলে কোর্টে এগুলোর ব্যাখ্যা দেবেন। আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়েছি, কোর্টে তার বক্তব্য সঠিক হলে তিনি ছাড়া পাবেন।’
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা তথ্য পেয়েছি তার নগদ টাকা অবৈধ উৎস থেকে এসেছে। কিন্তু এটা সত্য-মিথ্যা প্রমাণ করার দায়িত্ব তার। এটা তিনি কোর্টের সামনে প্রমাণ করবেন।’
অস্ত্রের বিষয়ে সারওয়ার আলম বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বৈধ অস্ত্র অবৈধ কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৈধ অস্ত্র ব্যবহারের কিছু শর্তাবলি থাকে। সেসব ভঙ্গ করেছেন তিনি।’