মেরিন ইঞ্জিনিয়ার নজিবুল্লাহ আনসারী গত দেড় বছর ধরে নিখোঁজ। ‘জিহাদে অংশ নিতে ইরাক যাচ্ছি’ ফেসবুকে ছোট ভাইকে এ বার্তা পাঠিয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে নিখোঁজ হন নজিবুল্লাহ। আর গত ১০ জুলাই তার বাবা নৌ-বাহিনীর সাবেক সদস্য রফিকুল্লাহ আনসারী চট্টগ্রামের ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার পর টেলিভিশনে নিখোঁজ ব্যক্তিদের ছবির মধ্যে নজিবুল্লাহর ছবি দেখে তার বাবা এই জিডি করেন।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে নজিবুল্লাহর সঙ্গে তার পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর তার আর কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তার বাবা থানায় একটি জিডি করেছেন।
জিডিতে বলা হয়েছে, ফেসবুকে নজিবুল্লাহ তার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি ইরাকে এসেছি। বাবা-মাকে আমার জন্য চিন্তা করতে নিষেধ করো। জিহাদের জন্য আমি এখানে এসেছি। আমি আর বাড়ি ফিরব না। সময় বের করতে পারলে ফোন করবো।’
ওসি বলেন, চাকরির সুবাদে নজিবুল্লাহর বিভিন্ন দেশে যাতায়াত ছিল। বিদেশের কর্মস্থল থেকেই তিনি ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে ইরাকে চলে যান। তার পরিবার এ বিষয়টি সবার কাছেই গোপন করছিল। কারণ, সাম্প্রতিক সময়ে আইএস একটি স্পর্শকাতর ইস্যু।
জিডি সূত্রে জানা যায়, এইচএসসি পাসের পর তার ছেলে মালয়েশিয়া মেরিন একাডেমিতে পড়তে যায়। সেখানে থাকার সময়ই যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ‘বৃত্তি’ নিয়ে পড়ালেখা শেষ করে ২০১২ সালে বিদেশি একটি জাহাজে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি নেয় নজিবুল্লাহ। তবে ২০১২ সালের পর নজিবুল্লাহ আর দেশে ফেরেনি।