এবার দিবসটির স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘সোনালি আঁশের সোনার দেশ, পাটপণ্যের বাংলাদেশ’। পাটশিল্পের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি জড়িত। দেশীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সঙ্গে মানানসই পাট ও পাটজাত পণ্য দেশে যেমন গুরুত্বের দাবিদার, তেমনি বিশ্ববাজারেও এটি এখন অনন্য পরিবেশবান্ধব পণ্য হিসেবে সমাদৃত।
জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, রাষ্ট্রীয় পাটকলসমূহ আধুনিকায়নের ফলে পাট খাত পুনরায় অর্থনীতিতে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখছে। দেশের অর্থনীতি ও মানবসম্পদ উন্নয়নসহ সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাটশিল্প উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সোনালি আঁশের ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে। পাট পরিবেশবান্ধব, তাই নির্মল ও দূষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পাট ও পাটজাত বহুমুখী পণ্যের বিকল্প নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার পাট খাতের উন্নয়নের জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছে। বেশ কয়েকটি বন্ধ পাটকল পুনরায় চালু করা হয়েছে। পাটের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির জন্য পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ এবং পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিধিমালা, ২০১৩ কার্যকর করা হয়েছে। একটি সময়োপযোগী পাট আইন, ২০১৬ অনুমোদনের পথে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী ।
রাজধানীতে আজ সকালে শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে শুরু হওয়া এই শোভাযাত্রায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ইমাজউদ্দিন প্রামাণিক এবং প্রতিমন্ত্রী মির্জ আজম অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৯ মার্চ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে পাটপণ্য মেলার উদ্বোধন করবেন।