অগ্রসর রিপোর্ট :
দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি জাতীয় সনদ তৈরির লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ ঢাকায় সংসদ ভবনের এলডি হলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে বর্ধিত আলোচনার শুরুতে এই অভিপ্রায় প্রকাশ করেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। কমিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আলোচনা চলাকালে অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, জাতীয় সনদ তৈরির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা দু-এক দিনের মধ্যেই শেষ করে শীঘ্রই দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু করবে কমিশন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব বিষয়ে মতভিন্নতা থাকবে, সেগুলোর বিষয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা চলবে। আলোচনার সুযোগ অনেক রক্ত ও প্রাণের বিনিময়ে সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাদের আত্মত্যাগে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাদের প্রতি কমিশনের দায়িত্ব রয়েছে। এই দায় শুধু কমিশনের নয়, বরং বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক শক্তি, সুশীল সমাজ এবং সামাজিক শক্তিশালীদেরও রয়েছে।
বর্ধিত আলোচনায় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। অপরদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আজাদ, এহসান মাহবুব যোবায়ের, সাইফুল আলম খান মিলন, মতিউর রহমান আকন্দ, নুরুল ইসলাম বুলবুল, মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, আইনজীবী শিশির মোহাম্মদ মনির এবং সরকার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলোর ওপর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত জমা দেয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এর প্রেক্ষিতে গত ২৬ এপ্রিল দলটির সাথে প্রথম দফার আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেদিনের অসমাপ্ত বিষয়গুলো নিয়েই আজকের এই বর্ধিত আলোচনার আয়োজন করা হয়।