অগ্রসর রিপোর্ট : বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদৎবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার সমাধি বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণের পর স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি এই মহান নেতার প্রতি সম্মান জানাতে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে আরেকটি পুষ্পাঞ্জলীও অর্পণ করেন। বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে এবং ১৫ আগস্টের বিয়োগান্তক ঘটনার পর বঙ্গবন্ধু পরিবারের অপর জীবিত সদস্য শেখ রেহানাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকষ দল জাতির পিতাকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়, এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। তিনবাহিনী প্রধানগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতির পিতা, তাঁর সহধর্মিনী বেগম মুজিবসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্য কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যদের বুলেটের আঘাতে শাহাদৎবরণ করেন।
পরে ১৫ আগষ্টের শহীদদের স্মরণে এবং দেশ ও জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বি মিয়া, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ও মুহম্মদ ফারুক খান, কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মীর্জা আজম, ডাক ও টেলিয়োগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, এনামুল হক শামীম, ব্যরিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জাসান লিটন, ইকবাল হোসেন অপু এবং অনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
পাশাপাশি মন্ত্রী পরিষদ সচিব মুহম্মদ শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ উর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা জাতির পিতার সমাধি ফুলে ফুলে ভরিয়ে তোলে।
মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ এবং গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের উদ্যোগে পরে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলে বঙ্গবন্ধুর সমাধি প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত এক মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।
এরআগে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সম্মুখে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পরে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগে গোপালগঞ্জের চুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার জন্মস্থান এবং সমাধিসৌধ স্থলে আসেন।
প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে শায়িত ১৫ আগস্টে নিহতদের কবরেও পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।