অগ্রসর রিপোর্ট : জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, যারা জাতির পিতার অবদানকে অস্বীকার করে তারা বাংলাদেশ, বাঙালি জাতি ও স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে। তারা বাঙালি কিনা এ নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।
সোমবার রাতে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত আলোর মিছিলে তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের প্রসঙ্গে বলেন, ‘জাতির পিতার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হতো না। আর বাংলাদেশ না হলে দেশের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে কোন বাঙালি আসীন হতে পারতেন না। বাঙালি হিসেবে এ কথাটি আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত।’
যে পথে ঘাতকের ট্যাঙ্ক গিয়ে জাতির পিতাকে হত্যা করে বাঙ্গালী জাতিকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছে, সে পথে ৪২টি মশাল নিয়ে ‘আলোর মিছিল’ করছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান শাহিনের সঞ্চালনায় মানিক মিয়া এভিনিউস্থ টিএন্ডটি মাঠের সামনে মিছিল পূর্ব সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য কবি কাজী রোজী। বক্তৃতা করেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. কাজী সাইফুদ্দিন, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব ইমরুল কায়েস রানা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি জোবায়দা হক অজন্তা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহববুর রহমান রুহেল, শফিউল বারী রানা ও ডা. সুব্রত ঘোষ, সহ-সভাপতি সাংবাদিক মিজান রহমান, কাজী আবু রাসেল ও ওমর ফারুক সাগর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ রনি ও আল-আমিন মৃদুল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমা আক্তার, কোষাধ্যক্ষ ও দপ্তর সম্পাদক আহমাদ রাসেল, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আনিসুল রহমান মোল্লা, আরেফির কাউসার, শফিকুল ইসলাম, ধ্রুব আব্বাস ও মাসুদ রানা। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, তিতুমীর কলেজ, কিশোরগঞ্জ, মোৗলভীবাজারের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যে অবজারবেশন দেয়া হয়েছে তাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের এপিলেড ডিভিশনের রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়েত ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে। তারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দেশে বসে নানা ষড়যন্ত্র করে ব্যর্থ হয়ে এখন বিদেশের মাটিতে বসে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করছে। দেশে একজন মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে থাকতে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা বেঁচে থাকতে বাংলার মাটিতে আর কোন ষড়যন্ত্রকে বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।’
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়াসহ মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ আলোর মিছিলটি উদ্বোধন করেন। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে গিয়ে সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে মিছিলের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধু হত্যায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান।
মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংগঠনের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীনের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।