অগ্রসর রিপোর্ট :র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত রাজধানীজুড়ে জলে, স্থলে ও আকাশপথে থাকছে র্যাবের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চেকপোস্টগুলোতে থাকবে অন-সাইট আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম।’
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
র্যাব ডিজি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সব অনুষ্ঠান যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন হয় সেজন্য এ ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।’ তিনি বলেন, জলে, স্থলে ও আকাশপথে কঠোর নিরাপত্তার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্নস্থানে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করা হবে। রাজধানীজুড়ে থাকবে র্যাবের টহল টিমের বিচরণ। এছাড়াও র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট নিয়োজিত থাকবে। পোশাকে ও সাদা পোশাকে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখা হবে। বিভিন্ন চেকপোস্টে বসানো হবে অন-সাইট আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম ডিভাইস। এতে করে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের চেহারা, নাম ও পরিচয় শনাক্ত করা যাবে।
আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আগামী ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে দেশব্যাপী নিরাপত্তা দেবে র্যাব। কেউ যদি আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটাতে চায় তাহলে তাদের শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো শরিক হবে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এবং দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করবেন। ঝুঁকি পর্যালোচনা করে সবগুলো অনুষ্ঠানে ও দেশব্যাপী প্রাক-মোতায়েন সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও র্যাব সদর দপ্তরে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোলরুম ও প্রতিটি ব্যাটালিয়নে কন্ট্রোলরুম থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের হুমকি আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাব ডিজি বলেন, কোনো ধরনের হুমকি নেই। এছাড়া কোনো ধরনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কাও নেই। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটলে তা মোকাবিলা করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে ঢুকতে কিছু সংগঠনের বাধা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা আশা করছি দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে তারা এ ধরনের কর্মসূচি পালন করবে না। তারপরও যদি তারা এ ধরনের কর্মসূচি পালন করা থেকে বিরত না থাকে তাহলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।