স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামকে নিষিদ্ধ করার জন্য গত বছরের শেষের দিকে পুলিশ সদর দফতর থেকে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়। প্রজ্ঞাপনে সংগঠনটিকে দেশের জননিরাপত্তার জন্য হুমকি উল্লেখ করা হয়।
নতুন করে নিষিদ্ধ আনসার-আল ইসলাম নিজেদেরকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দা নেটওয়ার্কের ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ শাখা হিসেবে দাবি করে। পুলিশের ভাষ্যে, দেশের বিভিন্ন ব্লগার হত্যার দায় স্বীকারকারী ‘আনসার-আল ইসলাম’ হচ্ছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমেরই নতুন নাম।
একাধিক ব্লগার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার কথা জানিয়ে গত বছরের আগস্টে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটি) প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ হলে তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়াটি সহজ হবে। একইসঙ্গে এই সংগঠনের নেতাকর্মীদের মনোবলেও চিড় ধরবে। এছাড়া তাদের নতুন করে সদস্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া আটকানো সহজ হবে। এই সংগঠনের নেতাকর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতে কেউ সাহস পাবে না।’
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৫ মে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ হয় আনসারুল্লাহ বাংলা টিম। তার আগে দুই ধাপে নিষিদ্ধ করা হয় হিযবুত তাহরীর, জেএমবি, জেএমজেবি, হুজি ও শাহদাৎ-ই আল হিকমা। ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পল্লবীতে ব্লগার রাজীব হায়দারকে হত্যার মধ্য দিয়ে আসারুল্লাহ বাংল টিম প্রথম আলোচনায় আসে। এরপর ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল পর্যন্ত নয়জন ব্লগার, প্রকাশক ও ছাত্র-শিক্ষককে হত্যার দায় স্বীকার করেছে এই গোষ্ঠীটি। ব্লগার রাজীব হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আমীর মুফতি জসীমউদ্দীন রাহমানী কারাভোগ করছেন।