চুয়াডাঙ্গায় বাউল আখড়ায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও তিন বাউলকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার রাত ১২টার দিকে জেলার জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের একতারপুর গ্রামে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিরা হলেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার শোরুদা গ্রামের বাউল আবদুর রহিম শাহ (৬৫) ও তাঁর স্ত্রী বুলু বেগম (৫৫) এবং ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ফজলুর রহমান ওরফে নুরু ফকিরের স্ত্রী রুশিয়া খাতুন (৪৫)। আহত ব্যক্তিদের রাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঁদের মধ্যে রুশিয়া খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য দুজন সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আজ রোববার সকালে নিজ বাড়ি ফিরেছেন।
আজ দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে একতারপুর গ্রামের বাউল আখড়ায় গিয়ে হামলা ও ভাঙচুরের চিহ্ন দেখা যায়। হামলায় আখড়াবাড়ির ঘরের টিন দুমড়েমুচড়ে গেছে। ঘরের ভেতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে লালন ফকিরের গানের বই ও বেশ কিছু ছবি। সেগুলো গুছিয়ে রাখছেন বাউল শহিদুল হক শাহ (৬৫)। সেখানেই কথা হয় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে।
বাউল শহিদুল হক শাহ বলেন, গ্রামের শেষ মাথায় তাঁর ব্যক্তিগত ১২ কাঠা জমির ওপর আট বছর আগে আখড়াবাড়ি স্থাপন করা হয়। তাঁর ছেলে মুকুল শাহ আখড়া বাড়ির তদারকি করেন। গতকাল রাতে দুজন সাধু তাঁদের স্ত্রীসহ আখড়ায় আসেন। রাত ১২টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে আখড়াবাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও রড দিয়ে পিটিয়ে তিনজনকে জখম করে। হামলার সময় বাউল নুরু ফকির পালিয়ে যান।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আজ দুপুর পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। হামলাকারীদের ধরতে পুলিশি তৎপরতা চলছে।