অগ্রসর রিপোর্ট :স্বাlস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, চীন থেকেই সিনোফার্মের আরও ৬ কোটি ডোজ টিকা আসবে।
শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড ফিল্ড হাসপাতাল উদ্বোধনের সময় তিনি এই তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দেড় কোটি ডোজ টিকার চুক্তি করা আছে। এরমধ্যে চীন টিকা পাঠানো শুরুও করেছে। বাংলাদেশ চীন থেকে আরও ৬ কোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের চুক্তি করবে। এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন। এসব টিকার মধ্যে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসেই ২ কোটি করে মোট ৪ কোটি টিকা আসবে। পাশাপাশি কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির টিকা সরবরাহও বজায় থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘টিকা আমরা গ্রামে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। শহরের লোকেরা টিকা মোটামুটি পেয়েছে। গ্রামের বয়স্ক লোক সেভাবে টিকা গ্রহণ করেননি। তাদের মধ্যে অনীহাও ছিল। আমরা সেই জন্য টিকা তাদের কাছে নিয়ে যাচ্ছি। ঢাকা শহরে যে ৭৫ শতাংশ রোগী আছে তাদের বেশির ভাগই গ্রাম থেকে আসা এবং ৯০ শতাংশই টিকাবিহীন।’
এর আগে বিএসএমএমইউ’র ১ হাজার শয্যার ফিল্ড হাসপাতালের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। কোথাও আইসিইউ বেড খালি নেই। কোভিড চিকিৎসায় সারাদেশে ১৭ হাজার সাধারণ বেড রয়েছে। সেগুলোরও প্রায় সবগুলোই রোগীতে ভর্তি হয়ে গেছে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘হাসপাতালগুলোতে করোনা চিকিৎসার পাশাপাশি বর্তমানে ডেঙ্গু চিকিৎসাও করতে হচ্ছে। চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। সবাইকে সতর্ক হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে। হাসপাতালে আর বেড বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।’
এক হাজার বেডের ফিল্ড হাসপাতাল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএসএমএমইউর ফিল্ড হাসপাতাল আপাতত ৩৫৭টি শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। তার মধ্যে ৪০টি আইসিইউ বেড এবং বাকিগুলোতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন করা আছে। হাসপাতালটিকে পর্যায়ক্রমে এক হাজার বেডে উন্নীত করা হবে। করোনা চিকিৎসার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকলেও সব রোগীকে এখানে ভর্তি করা হবে না। নতুন রোগী ও মুমূর্ষু রোগীরা এখানে আসবে, তাদের চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদসহ আরও অনেকে।