অগ্রসর রিপোর্ট :উইঘুর নির্যাতন নিয়ে সরব জাতিসংঘ। চীনের ওপর চাপ বাড়িয়ে এবার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জিনজিয়াং প্রদেশ পরিদর্শনের কথা বললেন মানবাধিকার পরিষদের প্রধান মিশেল ব্যাকলেট।
সোমবার মানবাধিকার পরিষদের ৪৭তম অধিবেশনে চীন, রাশিয়া ও ইথিওপিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সরব হন ব্যাকলেট। বিশেষ করে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের ওপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।
ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চলতি বছরই জিনজিয়াং যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ব্যাকলেট।
একইসঙ্গে, হংকংয়ে চীনা দমননীতি নিয়েও সরব হন জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের প্রধান। স্বশাসিত প্রদেশটির ‘গণতান্ত্রিক মর্যাদা’ কেড়ে নিতে শি জিনপিং প্রশাসনের বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করেন ব্যাকলেট।
বিশ্লেষকদের মতে, উইঘুর ও হংকং ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ব্যাকফুটে রয়েছে চীন। এবার জিনজিয়াং পরিদর্শনের প্রসঙ্গ তুলে কমিউনিস্ট দেশটির ওপর আরও চাপ বড়াল জাতিসংঘ।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে জিনজিয়াং প্রদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা হওয়ার পর থেকেই উইঘুর মুসলিমদের ওপর রাশ টেনেছে চীন। সেখানে উইঘুর ও অন্য মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর জুলুমের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কয়েকদিন আগে বিবিসির এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বন্দিশিবিরে থাকা মুসলিম নারীদের ওপর পরিকল্পনা করে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন চালাচ্ছে চীন।
সেই রিপোর্টকে ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আমেরিকা।
এর আগেও শোনা গিয়েছিল, মুসলিম নারীদের জোর করে অপারেশন করে বন্ধ্যা করে দেওয়া হচ্ছে কিংবা গর্ভপাত করানো হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমালোচিত হলেও তা নিয়ে বিশেষ মাথা ব্যথা নেই প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামেনেস্টি কিংবা ইসলামিক দেশগুলোর সংগঠন সবাই এই বিষয়ে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও লাভ হয়নি কোনও। পাল্টা বেইজিংয়ের দাবি, তাদের দেশে যথেষ্ট ধর্মীয় স্বাধীনতা ও শ্রম আইন রয়েছে।
ফলে উইঘুর মুসলিমরা সমস্ত নাগরিক অধিকার নিয়ে ভাল রয়েছেন। সংখ্যালঘু কতটা ‘সুরক্ষিত’, সেই কথা বোঝাতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল চীন। সূত্র: আল-জাজিরা