স্টাফ রিপোর্টার: সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যারা বিকল্প পন্থায় ফেসবুক ব্যবহার করছেন তাদের সবাই গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে রয়েছেন। যাদের প্রয়োজন মনে করা হচ্ছে, তাদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। অন্যদের ধরা হচ্ছে না।
তবে, সরকারের নিষেধাজ্ঞা না মানা আইন অমান্যের শামিল। তাই বিকল্পভাবে যারা ফেসবুক ব্যবহার করছেন দেশের সুনাগরিক হিসেবে তাদের সেটা করা উচিত নয়।
সচিবালয়ে রবিবার এক অনির্ধারিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর কথা বলার ফাঁকে এ সব তথ্য তুলে ধরেন ডাক ও টেলিযোগাযোযোগ বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী।
সচিব বলেন, ‘বিকল্প পন্থায় যারা (ফেসবুক) ব্যবহার করছেন (তাদের), প্রত্যেকটা তথ্য আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার বুকে (বইয়ে) আছে। প্রত্যেকটাই আছে। আমরা সবকয়টা ধরছি না, যেটা ধরার সেটাই ধরছি।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জননিরাপত্তার স্বার্থেই ফেসবুক বন্ধ রয়েছে জানিয়ে বলেন, ‘আমরা তো দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনকে মূল্যবান মনে করি। এ জন্য কিছু অসুবিধা হলেও সহ্য করতে হবে।’
বেলজিয়ামের উদাহরণ দিয়ে তারানা হালিম বলেন, ‘সে দেশের পাতাল রেলসহ অনেক ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখা হলেও সেখানে কোনো সমালোচনা হয়নি। বরং সবাই সহযোগিতা করেছেন। তাই আমাদের এই বিষয়গুলো নিয়ে নতুন করে ভেবে দেখতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রীর কথার ফাঁকে টেলিযোগাযোগ সচিব আরও বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন বিকল্প পন্থায় ফেসবুকিং করছে না, বরং গোয়েন্দাগিরি করছে।’