আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পিবিআইয়ের বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম মাদারপুর ও জয়পুরপাড়ার সাঁওতাল পল্লীতে পৌঁছে।
শুরুতে তদন্ত টিম ক্ষতিগ্রস্ত মাদারপুর ও জয়পুরপাড়া ঘুরে দেখেন। এ সময় তারা ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতালদের সঙ্গে কথা বলেন। একই সঙ্গে খামারের জমিতে বসতি থাকা এলাকাও ঘুরে দেখেন।
এরপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি মাদারপুর ও জয়পুরপাড়ার সাঁওতাল পল্লীতে পৌঁছান।
পিবিআইয়ের বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সাঁওতালদের ওপর হামলার ঘটনায় স্বপন মুরমু ও থোমাস হোমের দায়ের করার মামলার তদন্ত করতে আমরা এখানে এসেছি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও সাঁওতালদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
বেলা ১১টার দিকে গাইবান্ধা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল্লাহ ঘটনা তদন্ত করতে সেখানে অবস্থান নেয়া সাঁওতালদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় সাঁওতালরা ৬ নভেম্বরের ঘটনার সম্পর্কে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে জানান। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতালদের পুড়ে যাওয়া ঘরের কাঠসহ বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করেন।
গাইবান্ধা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে ব্যক্তিগত ছুটি সংক্ষিপ্ত করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সাঁওতালদের সঙ্গে হামলার ঘটনার বর্ণানা শুনেছি। তদন্ত কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে চলবে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন উচ্চ আদালতে পাঠানো হবে।
গত ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সাঁওতালরা তাদের ওপর হামলা, ঘরে আগুন দেয়া, পুরনো বসতবাড়িতে লুটপাট ও হত্যার অভিযোগ করে। এ ঘটনায় সাঁওতালদের পক্ষে থানায় পৃথক অভিযোগ করা হয়। এর মধ্যে একটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে, অন্যটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। এ ছাড়া ঘটনার দিন পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করে। ওই ঘটনায় হাইকোর্টে পৃথক রিট হয়েছে।