অগ্রসর রিপোর্ট : বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
সোমবার ঈদের রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘একে অপরের পাশে থাকতে হবে। সম্মিলিতভাবে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাগত বক্তব্য দিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে শুভেচ্ছা জানান। এরপর তারেক রহমান সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে বক্তব্য রাখার অনুরোধ করেন।
সবার উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আপনাদের ত্যাগ ও সংগ্রাম বৃথা যায়নি, ভবিষ্যতেও যাবে না। গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
তিনি দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান এবং দীর্ঘদিন পর নেতাকর্মীদের একত্রে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি আগামীর পথচলায় দেশবাসীর দোয়া ও আল্লাহর রহমত কামনা করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী।
এছাড়াও যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কে এম ফজলুল হক মিলন, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আহ্বায়ক আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।