রাষ্ট্রায়ত্ত এ দুটি ব্যাংকই সৃষ্টি করেছে দেশের ব্যাংকিং খাতের মোট খেলাপি ঋণের ২৮ শতাংশ। অথচ ব্যাংক দুটির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মোট ঋণের ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ। শুধু তা-ই নয়, ব্যাংকিং খাতের মোট খেলাপি ঋণের অর্ধেকের বেশি সৃষ্টি করেছে সরকারি খাতের আটটি ব্যাংক। যদিও এ ব্যাংকগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে বিতরণকৃত মোট ঋণের ২১ দশমিক ৬১ শতাংশ।
খেলাপি ঋণে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো। দেশের ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণের ৭৪ দশমিক ৬৫ শতাংশই বেসরকারি খাতের ৪০টি ব্যাংকের। ডিসেম্বর শেষে এ খাতের ব্যাংকগুলোর ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। একই সময়ে এ ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। এ পরিমাণ ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণের ৩৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। একই সময়ে বিদেশী খাতের নয়টি ব্যাংক বিতরণ করেছে ২৫ হাজার ১৪৮ কোটি টাকার ঋণ। এ ব্যাংকগুলোর ২ হাজার ৪০৫ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে, যা ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণের ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। যদিও এ ব্যাংকগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে মোট ঋণের ৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
উল্লেখ্য, দেশের ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণকৃত ঋণ ও খেলাপি ঋণ বিষয়ে তিন মাস অন্তর প্রতিবেদন তৈরি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৈরি ২০১৬ সালের ডিসেম্বরভিত্তিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।