বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ১ জানুয়ারি ২০১৬ থেকে এ নীতিমালা কার্যকর হবে।
মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা মাসিক ১২ হাজার থেকে বেড়ে ৩০ হাজার টাকা, বীর উত্তমদের ভাতা ১০ হাজার থেকে বেড়ে ২৫ হাজার টাকা, বীর বিক্রমদের ভাতা ৮ হাজার থেকে বেড়ে ২০ হাজার এবং বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্তদের ভাতা ৬ হাজার থেকে বেড়ে ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।’
একই সঙ্গে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের ভাতাও বাড়ানো হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ-শ্রেণির (যারা ৯৬ থেকে ১০০ শতাংশ পঙ্গু) মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা ৩০ হাজার থেকে বৃদ্ধি করে ৪৫ হাজার টাকা, বি-শ্রেণির যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ২০ হাজার টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা, সি-শ্রেণির যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ১৬ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা, ডি-শ্রেণির ভাতা ৯ হাজার ৭০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।
এ ছাড়া শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাসিক ভাতা ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা, মৃত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাতা ১৫ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ পরিবারের ভাতা ২৮ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫ হাজার টাকা করা হয়েছে বলেও জানান শফিউল আলম।
তারামন বিবি ‘বীর প্রতীক’ ক্যাটাগরিতে ভাতা পাবেন বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
‘বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার চূড়ান্ত ও ‘জাতীয় লবননীতি, ২০১৬’-এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।