খুলনা প্রতিনিধি- খুলনায় বিএনপি নেতারা আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন। নির্বাচন প্রতিহত ও নির্বাচনের বর্ষপূর্তির আন্দোলনে নাশকতার অভিযোগে মোট ১২ মামলা হয়েছে। এর মধ্যে পর্যায়ক্রমে ৫০ নেতাকর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাদের সবাইকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। নেতাদের মামলামুক্ত করার আইনি প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিহত ও নির্বাচনের বর্ষপূর্তির আন্দোলনে নাশকতার অভিযোগে খুলনা মহানগরীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৬৪টি মামলা হয়। চার্জশিট দেয়ার সময় প্রতিটি মামলাকে দুই ও তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ফলে মামলার সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। তাছাড়া চার্জশিটে মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, অঙ্গসংগঠনের প্রধানসহ শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সব নেতাকেই পলাতক দেখানো হয়েছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এসব নেতাকর্মীকে আইনি লড়াইয়ে মুক্ত করার পক্ষে মত দেন মাঠপর্যায়ের নেতারা। সে অনুযায়ী দলীয় আইনজীবীদের নিয়ে পৃথক তিনটি প্যানেল তৈরি করা হয়। নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে জামিন আবেদনের জন্য তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র সহ- সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্তুজা জানান, আত্মসমর্পণের পর মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করা হবে। জামিন না হলে নকল নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হবে। বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, ১৮ সেপ্টেম্বরে উচ্চ আদালত ও ডিসেম্বরে নিম্ন আদালত বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে প্রথম দফায় দৌলতপুর ও খালিশপুর থানার মামলাগুলোয় আত্মসমর্পণ করা হয়েছে। ঈদের পর সোনাডাঙ্গা, সদর ও মহানগর নেতারা আত্মসমর্পণ করবেন। আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।