নিজস্ব সংবাদদাতা- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিরা পৃথিবীর যেখানেই থাকুক, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
শনিবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শহীদদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সামনে সৈয়দ আশরাফ এ কথা বলেন। সৈয়দ আশরাফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা পৃথিবীর যে দেশেই থাকুক, দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের বিচার করা হবে। রায় কার্যকর করা হবে। এ নিয়ে আমাদের সব রকম প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ১৫ আগস্ট ইতিহাসের কালো দিন, কলঙ্কের দিন অভিহিত করে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহচর জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের পুত্র আশরাফ বলেন, ‘১৫ অগাস্ট ইতিহাসের কালো দিন, কলঙ্কের দিন। বাংলাদেশে যেন এ রকম কিছু আর না ঘটে। জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে। দেশ এখন উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাবে। এ জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। এ সময় আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। প্রথমে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বনানী কবরস্থানে শহীদদের কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগ। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা ও সৈনিকের হাতে সপরিবারে জীবন দিতে হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের নেতা ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে। সে রাতে ঘাতকদের বুলেটের নির্মম আঘাতে বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, শেখ জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ নাসের, বঙ্গবন্ধুর বোনের স্বামী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবী ও শিশুপৌত্র সুকান্ত বাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, নিকটাত্মীয় শহীদ সেরনিয়াবাত ও রিন্টু, পুলিশের বিশেষ শাখার সাব-ইন্সপেক্টর সিদ্দিকুর রহমান ও বঙ্গবন্ধুর বাড়ির নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিলও নিহত হন।
১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জনের মধ্যে পাঁচজনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে ২০১০ সালে। বাকিদের একজন মারা গেছেন এবং ছয়জন পলাতক আছেন। এরা হলেন এম রাশেদ চৌধুরী, নূর চৌধুরী, খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, আবদুল মাজেদ ও মোসলেহউদ্দিন খান। এদের মধ্যে রাশেদ চৌধুরী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে এবং নূর চৌধুরী কানাডায় আছেন।