জানতে চাইলে হাসপাতালের কাস্টমার সার্ভিসের কর্মকর্তা রুমানা ফেরদৌস বলেন, খাদিজার বিল কত হয়েছে এটা আমাদের জানা নেই। আপনি হিসাব শাখায় যোগাযোগ করতে পারেন। আর এ তথ্য কেউ বলতে পারবে না। পরে রুমানার পরামর্শ মতো হিসাব শাখায় গেলে সেখানে কর্তব্যরত এক কর্মকর্তা বলেন, এটা গোপন জিনিস। আমরা এ তথ্য কাউকে সরবরাহ করবো না। আর যদি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করে তাহলে এ তথ্য সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ করা হবে। এটা সম্পূর্ণ হাসপাতালের ব্যাপার।
খাদিজার চিকিসার তত্ত্বাবধান করেছেন চিকিৎসক মির্জা নাজিমউদ্দিন। টাকার অংকটা বলতে চাইলেন না তিনিও। জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী দেখছেন, তিনিই বলতে পারবেন বিষয়টি। অনেক মানুষকে জিজ্ঞাসার মধ্যে একটি অংক অবশ্য পাওয়া গেলো খাদিজার বাবা মাশুক মিয়ার কাছে। মেয়েকে হাসপাতাল থেকে নিতে আসার সময় তার সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। নিজের ভাষায় তিনি বলেন, শুনছি সাড়ে ১৭ লাখ টাখা বিল অইছে। এই টাখা দিবে সরখান। আমারে এক টাখাও দিতে হয়নাই। তবে সিআরপিতে খাদিজার চিকিৎসার খরচ কে দেবে? এ প্রশ্নের অবশ্য জবাব নেই তার বাবার কাছেও। জানতে চাইলে তিনি বলেন, এইটা তো জানি না।
সরকার কারও বিল দিলে চিকিৎসার খরচের হিসাব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঠাতে হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। কিন্তু অধিদপ্তরে গিয়েও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহের পরিচালক এ কে এম সাইদুর রহমান বলেন, খাদিজার বিল কত হয়েছে তা আমার জানা নেই। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী তো বলেছেন, খাদিজার বিল বহন করবে সরকার। তাই আপনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষিৎ বাবুর সাথে কথা বলতে পারেন। যেহেতু ওনিতো প্রেসটা দেখেন। তবে সেই পরীক্ষিৎ বাবুও (পরীক্ষিৎ চৌধুরী) ফেরালেন ‘জানি না’ বলে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, খাদিজা আক্তারের বিল সম্ভবত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিশোধ করেছে। তবে কীভাবে কে বিল পরিশোধ করেছে তা আমার জানা নেই।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।