প্রায় দুই বছর পর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ করল জাতীয় পার্টি। আজ সকাল সোয়া ১০টায় শুরু হয় সমাবেশ। দলের চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ এবং সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ সকালে সমাবেশস্থলে এসে জাতীয় পতাকা ও দলের পতাকা উত্তোলন ও পায়রা ওড়ানোর মধ্যে দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন। ৩১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই সমাবেশে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ জমায়েত হয়েছিল।
সমাবেশে বিপুল জনসমাগম দেখে উচ্ছ্বসিত এরশাদ বলেন, ‘জীবনে বহু সমাবেশ দেখেছি কিন্তু আজকের মতে এতো বড় সমাবেশ কখেনো দেখি নাই।’
এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি জেগে ওঠেছে, দেশের জনগণ জেগে ওঠেছে, তারা পরিবর্তন চায়।’ নেতা-কর্মীদেরকে দলের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের ৭০ ভাগ তরুণ সম্প্রদায়, জাতীয় পার্টি সম্পর্কে তার অগত নয়। তাদের মিথ্যা কথা বলে তাদের মন ভুলানো হয়েছে। একটি কথা বলতে চাই ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ আমার হাতে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। আমি জোর করে ক্ষমতা গ্রহণ করি নাই।’
ক্ষমতায় আসলে কী কী করবেন সেই প্রতিশ্রতিও দেন এরশাদ। তিনি বলেন, ‘আমরা কী দেব ক্ষতায় গেলে। এই সরকার ব্যবস্থা দিয়ে সরকার চলতে পারে না। এই সরকার দিয়ে আমরা উপকৃত হই নাই। জনগণ উপকৃত হয় নাই বরং নিস্পেষিত হয়েছে। তাই জনগণ মুক্তি চায়, আমরা সেই প্রাদেশিক সরকার দিতে চাই। ’
এরশাদ বলেন, ‘জনগণ নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার চায় না, পরিবর্তন চায়। যেভাবেই নির্বাচন করুন, কোনো নির্বাচন প্রশ্নাতীত হয়নাই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করব ইনশাল্লাহ।’
এখন উপজেলা চেয়ারম্যানের কোন ক্ষমতা নাই মন্তব্য করে এরশাদ বলেন, ক্ষমতায় গেলে তিনি পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ব্যবস্থা চালু করবেন। বিচার ব্যবস্থাকে জনগনের কাছে নিয়ে যাব। প্রতিটি বিভাগে হাইকোর্ট বেঞ্চ হবে। ঘরে ঘরে বিদ্যুত দেবো, শিল্প কারখানা করব। দেশে হাজারো বেকার যুবক ঘুরে বেড়াচ্ছে সংসারের বোঝা হয়ে, তাদের চাকরির ব্যবস্থা করব।
তিনি বলেন, ‘আমার শেষ জীবনের চাওয়া- জাতীয় পার্টিকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চাই। দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য শক্তি প্রয়োজন, নির্ভর করছে তোমাদের ওপর। দলকে শক্তিশালী করুন।’
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র কো চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, কাজী ফিরোজ রশীদসহ অনেকে।