অগ্রসর রিপোর্ট: বিচ্ছিন্ন সহিংসতা ও অনিয়মের মধ্যে দিয়ে সারাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। এখন পর্যন্ত ২৪৬টি আসনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নৌকার প্রার্থীরা ১৯১ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া ৪৯টি আসনে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১০টি আসন।
ঢাকা বিভাগ
গোপালগঞ্জ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিপুল ভোটে বিজয়ী
গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দুই লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ আবুল কালাম (আম– এনপিপি) ৪৬০ ভোট পেয়েছেন।
গোপালগঞ্জ-১ আসনে জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খান। তিনি এক লাখ ১৮ হাজার ৭৫৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাবির মিয়া (স্বতন্ত্র–ঈগল) ১ লাখ ৮ হাজর ৯৩৪ ভোট পেয়েছেন।
গোপালগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম (নৌকা) ২ লাখ ৯৫ হাজার ২৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী কাজী শাহীন (লাঙ্গল) ১ হাজার ৫১৪ ভোট পেয়েছেন।
ফরিদপুর
স্বতন্ত্র এ. কে. আজাদের জয়
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ. কে. আজাদ বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৮ ভোট আর নৌকার প্রার্থী শামীম হক পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৯ ভোট।
টাঙ্গাইল
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর হার
টাঙ্গাইল-৮ আসনে কাদের সিদ্দিকী হেরেছেন। জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনুপম শাহজাহান। অনুপম ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়েছেন। আর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে নৌকার প্রার্থী খান আহমেদ শুভ বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৮৮ হাজার ৩৯৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগকারী মীর এনায়েত হোসেন পেয়েছেন ৫৭ হাজার ২৩১ ভোট।
খুলনা বিভাগ
মাগুরা
মাগুরা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী সাকিব আল হাসান বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়েছে। এছাড়া ডাব প্রতীক পেয়েছে ৫ হাজার ৯৯৩ ও লাঙ্গল পেয়েছে ২ হাজার ৩৪৩ ভোট।
মাগুরা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী ড. শ্রী বীরেন শিকদার পেয়েছেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৩১১ ভোট। ডাব প্রতীক পেয়েছে ৮৬৬, লাঙ্গল ১০ হাজার ৯৬৯ ও ঈগল প্রতীক ১০ হাজার ৯৬৯ ভোট।
কুষ্টিয়া
নৌকা প্রতীক নিয়েও হাসানুল হক ইনুর ভরাডুবি
কুষ্টিয়া-২ আসনে সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু নৌকা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৭৩১ ভোট। অন্যদিকে ট্রাক প্রতীকের কামারুল আরেফিন পেয়েছেন ৪১ হাজার ২৮২ ভোট।
যশোর
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে হেরেছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের শাহীন চাকলাদার। তিনি ৩৯ হাজার ২৬৯ ভোট পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল ইসলাম ৪৮ হাজার ৯৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনে জাতীয় পার্টির জয়। লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশু ৮৮ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৭ ভোট।
ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই। তিনি ৯৫ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৭২৮ ভোট।
বাগেরহাট
বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী শেখ তন্ময় দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন। শেখ তন্ময় পেয়েছেন এক লাখ ৮২ হাজার ৩১৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাতীয় পার্টির হাজরা শহিদুল ইসলাম ৪ হাজার ১৭৪ ভোট পেয়েছেন।
বাগেরহাট-৩ (রামপাল- মোংলা) আসনে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। তিনি পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৯৬৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস আলী ইজারদার পেয়েছেন ৫৮ হাজার ২০৪ ভোট।
মেহেরপুর
মেহেরপুর-১ (সদর-মুজিবনগর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৯৪ হাজার ৩০৩ ভোট পেয়েছেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান ৫৭ হাজার ৬৮২ ভোট পেয়েছেন।
মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক ৭২ হাজার ৭২৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেন পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৫৯৩ ভোট।
সিলেট বিভাগ
সিলেট
সিলেট-১ আসনে বিজীয় হয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৪৯ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া মিনার প্রতীক ২ হাজার ১৮১ ও আম প্রতীক ৯৫০ ভোট পেয়েছে।
সিলেট-৪ নৌকার প্রার্থী ইমরান আহমদ পেয়েছেন ২ লাখ ৬ হাজার ৯২৫ ভোট। সোনালী আঁশ ৩ হাজার ৯৯২ ও মিনার প্রতীক ৩ হাজার ৫৪ ভোট।
সিলেট-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী মাসুক উদ্দিন পেয়েছেন ৩২ হাজার ৫১ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী চৌধুরী পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭৯৫ ভোট।
মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজার-২ আসনে নৌকার প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল পেয়েছেন ৭২ হাজার ৭১৮ ভোট। ট্রাক প্রতীক পেয়েছে ১৫ হাজার ৫৫২ ও সোনালী আঁশ পেয়েছে ১১ হাজার ৪৪৯ ভোট।
বরিশাল বিভাগ
পটুয়াখালী
রুহুল আমিন হাওলাদার জয়ী
পটুয়াখালী-১ (সদর-মির্জাগঞ্জ-দুমকি) আসনে জাতীয় পার্টির কো–চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার (লাঙ্গল) ৮১ হাজার ৫০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী নাসির উদ্দিন তালুকদার (ডাব) ২৬ হাজার ৮৭৪ ভোট পেয়েছেন।
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত আ স ম ফিরোজ জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৩০০। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. মহসীন হাওলাদার পেয়েছেন ২ হাজার ৯৫৬।
পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে নৌকার প্রার্থী এস এম শাহজাদা ৯৪ হাজার ৪১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন (ঈগল) পেয়েছেন ৫৯ হাজার ২৪ ভোট।
বরিশাল
বরিশাল-১ আসনে (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলী পেয়েছেন ৪ হাজার ১২২ ভোট।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে নৌকা প্রতীক রাশেদ খান মেনন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়ছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ১৭৫ ভোট। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী একে ফাইয়াজুল হক পেয়েছেন ৩১ হাজার ৩ ৯৭ভোট।
ঝালকাঠি
শাহজাহান ওমর জিতেছেন
ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর ৯৫ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির আবু বকর সিদ্দিক এক হাজার ৬২৪ ভোট পেয়েছেন।
যশোর-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী এনামুল হক জয়ী হয়েছেন। তিনি এক লাখ ৮১ হাজার ২৯৫ ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) জহুরুল হক পেয়েছেন ১০ হাজার ৩৪৬ ভোট।
চট্টগ্রাম বিভাগ
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী আংশিক) আসনে টানা চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়েছেন। ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মুহাম্মদ ইকবাল হাছান (মোমবাতি) পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০১ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
নৌকার সাংসদের হার, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত স্বতন্ত্রপ্রার্থী (কলার ছড়ি) সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান ৮৯ হাজার ৭৫৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জি এম ফরহাদ হোসেন ৪৬ হাজার ৬৩৩ ভোট পেয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মঈন উদ্দিন (কলার ছড়ি) ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা (ঈগল) পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৪৩১ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান (কাঁচি) ৬৪ হাজার ৩৭ ভোট পেয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী আনিসুল হক বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭টি ভোট। এনপিপির শাহীন খান পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এ বি তাজুল ইসলাম ১ লাখ ৯২ হাজার ৯১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকে আমজাদ হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬৬।
রাজশাহী বিভাগ
রাজশাহী
রাজশাহী-২ (সদর) আসনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা হেরে গেছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৬৬ ভোট। এই আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯০৬ ভোট।
রাজশাহী-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ পেয়েছেন ১ লাখ ৮২৩ ভোট। আর লাঙ্গল আব্দুস সালাম খান পেয়েছেন ৩ হাজার ৫১১ ভোট।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ সাত হাজার ৯৮৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনামুল হক পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৮১২ ভোট।
বগুড়া
বগুড়া-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৫৩ হাজার ২২৬ ভোট পেয়েছেন। আর ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ২২ হাজার ৮৪০ ভোট।
নওগাঁ
নওগাঁ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। আর ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৭২১ ভোট।
পাবনা
পাবনা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বিজয়ী হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ৯৪ হাজার ৩১৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদ পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৮৭ ভোট।
ডলি সায়ন্তনীর পরাজয়
পাবনা-২ (সুজানগর- বেড়ার একাংশ) আসনে নৌকার প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ১ লাখ ৬৫ হজার ৮৪২ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএমের প্রার্থী সংগীত শিল্পী ডলি সায়ন্তনী পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৮২ ভোট।
পাবনা-৪ ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী গালিবুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন। তিনি এক লাখ ৬৭ হাজার ৪৩ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬৬২ ভোট।
পাবনা–৫ (সদর) আসনে নৌকার প্রার্থী গোলাম ফারুক বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ১ লাখ ৫২হাজার ৭৮১ ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াকার্স পার্টির জাকির হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৩১৬ ভোট।
নাটোর
নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। তিনি ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৮২ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯০ হাজার ৭৪৮।
রংপুর বিভাগ
রংপুর
জিএম কাদেরের জয়, হেরেছেন রাঙ্গা
রংপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ৭৩ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আরেক স্বতন্ত্র মশিউর রহমান রাঙ্গা পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৩২ ভোট।
রংপুর-৩ (সদর-সিটির আংশিক) আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ৮১ হাজার ৮৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী পেয়েছেন ২৩ হাজার ৩২৬ ভোট।
রংপুর-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ১ লাখ ২১ হাজার ৮৯৩ ভোট। আর জাতীয় পার্টির মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল পেয়েছেন ৪১ হাজার ১২৫ ভোট।
নীলফামারী
নীলফামারী-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আফতাব উদ্দিন সরকার ১ লাখ ১৯ হাজার ৯০২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। জাতীয় পার্টির ডালিম উদ্দিন ২৪ হাজার ৬৬১ ভোট।
নীলফামারী-২ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর এক লাখ ১৯ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে তিনি পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৮৪ ভোট।
নীলফামারী-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন পাভেল ৩৯ হাজার ৩২১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। আর স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের মারজিয়া সুলতানা পেয়েছেন ২৫ হাজার ২০৫ ভোট।
নীলফামারী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক (প্রতীক–কাঁচি) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৭১৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখছেদুল মোমিন পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩০১। বর্তমান সংসদ সদস্য জাপা প্রার্থী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত এইচএম এরশাদের ভাগনে আহসান আদেলুর রহমান পেয়েছেন ৪১ হাজার ৩১৩ ভোট।
ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন দুই লাখ ৫হাজার ৩১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজাউর রাজি ১৩ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম এক লাখ ১৫হাজার ৪১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আসলাম পেয়েছেন ৫৭হাজার ২৪৫ ভোট।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (লাঙ্গল) ১ লাখ ৬ হাজার ৭১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির গোপাল চন্দ্র রায় পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৮২১ ভোট।
কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রাম-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী পনিরকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হামিদুল হক খন্দকার। তিনি (ট্রাক) প্রতীকে ৯৫ হাজার ৬০৯ ভোট পেয়েছেন। জাপার প্রার্থী মো. পনির উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৪৮ ভোট।
কুড়িগ্রাম-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী সৌমেন্দ্র প্রসাদ পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৩১৭ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী সরকার পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫১৫ ভোট।
কুড়িগ্রাম-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী পেয়েছেন ৮৬ হাজার ৬৫৮ ভোট। আর ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৪ ভোট।
দিনাজপুর
দিনাজপুর-৬ (বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুর) আসনে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী শিবলী সাদিক। তিনি ১ লাখ ৮২ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল হক চৌধুরী ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৮২ হাজার ৫১৫ ভোট।
দিনাজপুর-৩ (সদর উপজেলা) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকবালুর রহিম। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ২৫৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বজিৎ ঘোষ পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৩৮ ভোট।
লালমনিরহাট
লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা- পাটগ্রাম) আসনে নৌকার প্রার্থী মো. মোতাহার হোসেন ৯০ হাজার ৩৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধান পেয়েছেন ৭৪ হাজার ১৫৮ ভোট।
লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী- কালীগঞ্জ) আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। তিনি ৯৭ হাজার ৪৩৪ ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সিরাজুল হক (স্বতন্ত্র) ৫১ হাজার ৩৩৮ ভোট পেয়েছেন।
সিলেট বিভাগ
সুনামগঞ্জ
প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের স্ত্রী বিজয়ী
সুনামগঞ্জ-২ আসনে (দিরাই ও শাল্লা) জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়া সেন গুপ্তা। কাঁচি প্রতীক নিয়ে তিনি ৬৭ হাজার ৭৭৫ ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ পেয়েছেন ৫৮হাজার ৬৭২ ভোট।
চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত পরিকল্পনামন্ত্রী
সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৮ ভোট পেয়েছেন। তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শাহীনুর পাশা চৌধুরী (সোনালী আঁশ) ৪ হাজার ভোট পেয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে হেরেছেন বর্তমান সাংসদ, আ.লীগ প্রার্থীর জয়
এই আসনে (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ সাদিক জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯০ হাজার ৩৫২ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭১৮ ভোট।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনে (ছাতক–দোয়ারাবাজার) নৌকার প্রার্থী মুহিবুর রহমান এক লাখ ১৯ হাজার ৪০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী শামিম আহমদ চৌধুরী ৯১ হাজার ৮৮৮ ভোট পেয়েছেন।
মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলা) আসনে নৌকার প্রার্থী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ষষ্ঠবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৮ ভোট পেয়েছেন। আর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ উদ্দিন লাঙ্গল প্রতীকে ৩ হাজার ৯৮ ভোট পেয়েছেন।
মৌলভীবাজার–৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. আব্দুস শহীদ। তিনি ২ লাখ ১২ হাজার ৪শ ৯১ ভোট পেয়েছেন। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী আব্দুল মুহিত হাসানী মোমবাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৯০। বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন মিনার প্রতীক নিয়ে ৫ হাজার ৬৮ ভোট পেয়েছেন।
পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী মহিব্বুর রহমান। তিনি ৬০ হাজার ৮৫৬ ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুবুর রহমান (ঈগল) পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৫৭৬ ভোট।
ময়মনসিংহ বিভাগ
শেরপুর
শেরপুর-১ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ছানুয়ার হোসেন এক লাখ ৩৬ হাজার ৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রার্থী আতিউর রহমান আতিক (নৌকা), ৯৩ হাজার ৩৭ ভোট পেয়েছেন।
শেরপুর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী মতিয়া চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ২ লাখ ১২ হাজার ১৪২ ভোট পেয়েছেন। মশাল প্রতীকের জাসদের লাল মোহাম্মদ শাহজাহান কিবরিয়া পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৫ ভোট। ঈগল প্রতীকের সৈয়দ মুহাম্মদ সাঈদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪২ ভোট।
শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থী এ ডি এম শহিদুল ইসলাম। তিনি ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৬ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম আব্দুল্লাহহেল ওয়ারেজ (স্বতন্ত্র– ট্রাক) পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৭২৮।
জামালপুর
জামালপুর-৫ (সদর) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব মো.আবুল কালাম আজাদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২ লাখ ১৫ হাজার ৯১৩ ভোট পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম পেয়েছেন ৬৫ হাজার ২৪৯ ভোট।