অগ্রসর রিপোর্ট :করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে বাংলাদেশে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আরও ৫০৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ হয়েছে। গতকাল এই হার ছিল ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এছাড়া উল্লেখিত সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬১১ জন।
বৃহস্পতিবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সবশেষ এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের ২০৪টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৮৩০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে শনাক্ত হন ৫০৯ জন। এ পর্যন্ত ৩৬ লাখ ১৫ হাজার ৩৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে মোট শনাক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৯৫৩ জন।
এছাড়া নতুন মারা যাওয়া ১৫ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮ হাজার ৮৭ জন।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ১২ জন আর নারী তিনজন। মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ১৩ জন। বাকি দুইজনের মধ্যে ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন এবং ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে গত এক দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬১১ রোগী করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৫৪৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার কমে ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ হয়েছে। গতকাল শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশে। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫১ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গতবছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গতবছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।