ছুটির দিনে এমনিতেই কিছুটা ফাঁকা থাকে রাজধানীর সড়ক। ফাঁকা রাস্তা দিয়ে কমলাপুর স্টেশনে এসে ঘরমুখী যাত্রীদের তেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না। নির্বিঘ্নেই ট্রেনে নিজ গন্তব্যে যেতে পারছেন তাঁরা। ট্রেনে ঈদ যাত্রার তৃতীয় দিনে আজ শুক্রবার কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেল।
সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কমলাপুরের ঢাকা রেলস্টেশনে অবস্থান করে দেখা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষজন নির্বিঘ্নেই নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পারছেন। ট্রেনে নির্ধারিত আসন পেতেও কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছেন তসলিমা বেগম। বেলা সাড়ে ১১টায় কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার আগে তিনি বলেন, শুক্রবার হওয়ায় রাস্তা ফাঁকা ছিল। কমলাপুরে আসতে তেমন সমস্যা হয়নি। স্টেশনে ঢুকতেও সমস্যা হয়নি। এসে আসনও পেয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্টেশনে ঢোকার আগে তিনবার টিকিট দেখা হচ্ছে। বেশির ভাগ যাত্রী অনলাইনে করা টিকিটের ছবি মোবাইল ফোনে দেখিয়ে স্টেশনের ভেতর ঢুকছেন। এরপর নির্ধারিত সময়ে নিজ গন্তব্যে রওনা করছেন। আজ সকাল থেকেই নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছেড়ে গেছে।
ঈদ উপলক্ষে আটটি বিশেষ ট্রেন রাখা হয়েছে। এর মধ্যে আজ ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে দুটি বিশেষ ট্রেন ছাড়া হয়েছে। ৭ এপ্রিল থেকে আটটি ট্রেন চলাচল করবে বলে ঢাকা রেলস্টেশন থেকে জানানো হয়েছে।
ঢাকা রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত প্রতিদিন ৪২টি আন্তনগর এবং ২৫টি লোকাল মেইল ও কমিউটার চলাচল করছে। বিশেষ ট্রেনগুলোর মধ্যে আজ সকালে জামালপুর ও দেওয়ানগঞ্জে দুটি ট্রেন ছেড়ে গেছে। ব্যবস্থাপনা ঠিক থাকায় এবারের ঈদ যাত্রায় এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি।
ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি ট্রেনে নতুন বগি যুক্ত করা হচ্ছে জানিয়ে মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার আরও বলেন, চাহিদা অনুযায়ী প্রতিটা ট্রেনে একটা দুইটা করে বগি যুক্ত হচ্ছে।