আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, রায়ে দেশের জনগণ সন্তুষ্ট হয়েছেন, এটাই প্রত্যাশিত ছিল। কারণ কোনো হত্যাকাণ্ড যদি প্রমাণ হয় ফাঁসি দেয়াই তার প্রথম পদক্ষেপ।
কোনো মামলায় ফাঁসির আদেশ হলে অনুমোদনের জন্য ৭ দিনের মধ্যে রায়ের নথি হাইকোর্ট বিভাগে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট ডিভিশন দণ্ড বহাল রাখলে আপিল বিভাগে আপিল করার সুযোগ থাকবে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হলে রায় কার্যকর হবে।
এই অপরাধের নৃশংতায় যারা জড়িত… বিজ্ঞ আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণে তা পেয়েছেনৃ যদি অপরাধ হিসেবে হত্যাকাণ্ড প্রমাণিত হয় তাহলে কিন্তু ফাঁসি দেয়াটা হচ্ছে দ্য ফার্স্ট পানিশমেন্ট। মিটিগেশন বা অন্যান্য কারণ দেখানো হলে তাহলে এটাকে যাবজ্জীবন দেয়া যায়। সেই ক্ষেত্রে বিজ্ঞ আদালত এই অপরাধের নৃশংসতা, এই অপরাধের ষড়যন্ত্রের যে ঘৃণ্যতা- এসব বিচার করে ২৬ জনকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার কি না- এমন প্রশ্নে আনিসুল বলেন, এসব বাহিনী স্ব-স্ব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন, এটা তাদের বিবেচনার বিষয়।
৭ খুনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও সাবেক তিন র্যাব কর্মকর্তাসহ ২৬ আসামির ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। এ মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে বাকি ৯ জনকে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড।
৭ খুনের ঘটনায় দণ্ডিত ৩৫ জনের মধ্েয ২৫ জনই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। মামলার নথিতে বলা হয়, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধ থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলামকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেন। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে র্যাব সদস্যদের দিয়ে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।