অগ্রসর প্রতিবেদক : বন্ড লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে আমদানিকৃত পণ্যের কাঁচামাল স্থানীয় বাজারে বিক্রির অভিযোগে ৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। প্রতিষ্ঠানটি এসব কাঁচামাল বন্ডেড ওয়্যার হাউজে সংরক্ষণ করেনি। বন্ড রেজিস্টারেও লিপিবদ্ধ করেনি। তিনি জানান, এসব কাঁচামালের মূল্য ১৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুল্ক ফাঁকির পরিমাণ ৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। শুল্ক ফাঁকির দায়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নাজমুল হক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়জুল আবেদিনকে আসামি করে বুধবার (০৯ মার্চ) মামলা করা হয়েছে।
রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডের মের্সাস এমএস প্যাকেজিং অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেডের বিরুদ্ধে এ শুল্ক ফাঁকির প্রমাণ পায় শুল্ক গোয়েন্দা।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটির বন্ড লাইসেন্স নং ১৬১/কাস-পিবিডব্লি/২০০৩। এটি ঢাকা বন্ড কমিশনারেটের লাইসেন্সপ্রাপ্ত।
ড. মইনুল খান জানান, প্রতিষ্ঠানটি ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় বিদেশ থেকে ৩৭টি চালানোর মাধ্যমে ২ হাজার ১৩৫ টন ৫৩ কেজি গার্মেন্টস শিল্পের এক্সেসরিজের কাঁচামাল আমদানি করে।
কাঁচামালের মধ্যে আর্টকার্ড, ডুপ্লেক্স বোর্ড, হোয়াইট লাইনার পেপার রয়েছে। এসব কাঁচামাল শুল্কমুক্তভাবে আমদানি করলেও তা দিয়ে কোনো পণ্য তৈরি না করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেয় এসএম প্যাকেজিং। এতে পণ্য রফতানি সম্পন্ন হয়নি এবং বৈদেশিক মুদ্রাও আয় হয়নি।
খাতায় রফতানিরও কোনো তথ্য নেই। বন্ড লাইসেন্সের অপব্যবহার করে সে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কাঁচামালগুলো খোলাবাজারে বাইরে বিক্রি করে দিয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।