বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে মধ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিব কামাল আব্দুল নাসের, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি এম নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এর আগে, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৫ সালে বাংলাদেশে প্রথম সফরের পর শেখ হাসিনাকেও দ্বিপক্ষীয় সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। দ্বিপক্ষীয় সফরের বিষয়ে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলে আসছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরটি ‘গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর’। যথাসময়ে তা সবাইকে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, দুই দিনের সরকারি সফরে আজ বৃহস্পতিবার চীন থেকে ঢাকায় এসেছেন জয়শঙ্কর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুই পররাষ্ট্র সচিব দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র পর্যালোচনা করবেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করার কথা ছিল ২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর। তবে অনিবার্য কারণে ওই সফর স্থগিত করা হয়। এরপর ১০ ডিসেম্বর শনিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের এক সৌজন্য বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে প্রধান শেখ হাসিনা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ভারত সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু এবারও অনিবার্য কারণে এই সফর স্থগিত করা হয়।