অগ্রসর রিপোর্ট : ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বাসের ধাক্কায় একই পরিবারের চার জনসহ মোট ছয়জন নিহতের ঘটনায় ঘাতক বাসের চালক মোহম্মদ নুরুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বাসের ধাক্কায় একই পরিবারের চার জনসহ মোট ছয়জন নিহতের ঘটনায় গতরাতে বাসটির চালক মোহম্মদ নুরুদ্দিনকে শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জ থেকে র্যাব-১০ গ্রেপ্তার করে।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত নুরুদ্দিন শুক্রবার সকালে ৬০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার সায়েদাবাদ হতে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। বাসটিতে যাত্রীবোঝাই থাকলেও সে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালাতে থাকে। সকাল ১১ টার সময় বাসটি ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোল প্লাজায় টোল দেয়ার জন্য অপেক্ষারত একটি প্রাইভেট কার ও একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এ ঘটনায় প্রাইভেট কারের ৪ জন এবং মোটরসাইকেলে থাকা একজন মহিলা এবং সাত বছরের বাচ্চাসহ মোট ৬ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় আরও ১০ জন গুরুত্বর আহত হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
গ্রেপ্তারকৃতের জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব আরও জানিয়েছে, নুরুদ্দিন গত ১০ বছর ধরে বাস, ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্ন ধরণের গাড়ি চালিয়ে আসছিল। তার ড্রাইভিং লাইসেন্স ২ বছর যাবৎ মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। এছাড়াও বাসটির কোনো ফিটনেস সনদ ছিল না। দুর্ঘটনার পর সে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে অটোতে করে আব্দুল্লাহপুর আসে। এরপর সে সিএনজিযোগে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে তার ফুফাতো বোনের বাসায় চলে যায়। পরবর্তীতে সেখান থেকে র্যাব-১০ এবং র্যাব-১১ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল তাকে গ্রেপ্তার করে।