১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিতে মাতৃভাষার জন্য লড়াই করে রাজপথে শহীদ হয়েছিলেন বাংলার দামাল ছেলেরা। সেই অমর একুশের চেতনা আমাদের সংস্কৃতিতে খুবই গভীর, এই দিনে শহীদদের শ্রদ্ধার পাশাপাশি, সাজ-পোশাকেও থাকুক একুশের আবহ।
একুশের পোশাকে মেয়েদের প্রথম পছন্দ শাড়ি। সাদাকালো কিংবা নীলের পটভূমিতে একুশের বর্ণমালাকে ধারণ করা শাড়িতে কাপড়ের ক্ষেত্রে সুতির প্রাধান্য থাকলেও তাঁত, মসলিন, সিল্ক প্রভৃতির ব্যবহারও বাড়ছে। সালোয়ার-কামিজে সাদাকালোর প্রচলিত ধারার পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে ধূসর, কালচে সবুজ ও তামাটে রঙ। বৈচিত্র্যপূর্ণ ব্লক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, ঘন বুনোটের অ্যামব্রয়ডারি, নানা রঙের সুতার নকশার ব্যবহারে সালোয়ার-কামিজের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আধুনিক তরুণীরা চুড়িদার বা সালোয়ারের সঙ্গে কলার ফুল ও হাফ স্লিভ পোশাকগুলো পরতে পারেন একুশের আয়োজনে। বর্ণমালার সাজে ছেলেদের পাঞ্জাবিতেও করা হয়েছে বিভিন্ন রকমের ডিজাইন।
মেয়েরা চুলে সাদামাটা বেণি বা খোঁপা করতে পারেন। চোখে কালো আইশ্যাডো ব্যবহার করাই মানানসই। এরপর আইভ্রুর ঠিক নিচে সিলভার হাইলাইটার দিন। যারা কাজল ব্যবহার করেন তারা একুশের সাজের সঙ্গে কাজল যুক্ত করে নিতে পারেন। ঠোঁটে হালকা স্বাভাবিক রঙয়ের লিপস্টিক ব্যবহার করুন।
নেইলপলিশে এখন বিভিন্ন রঙ ব্যবহার হয়। এদিনে নখে কালো নেইলপলিশের ওপর সাদা রঙ দিয়ে এঁকে নিতে পারেন বাংলার বিভিন্ন বর্ণ।
ছেলেরা মাথায় বাংলাদেশের পতাকার রঙয়ের কোনো ফেট্টি বা হাতে লাল-সবুজের কোনো ব্রেসলেটও আমাদের পরিচয় ফুটিয়ে তুলে।
সকলের গালে রংতুলির ছোঁয়ায় জন্ম নেয়া বর্ণমালা আর একুশের মিনারও হতে পারে সাজের অনুষঙ্গ। – See more at: http://www.dainik-destiny.com/details.php?id=49035#sthash.jPKEVepH.dpuf