স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)-এর সভায় আন্তঃজেলা সড়ক নির্মাণসহ ২৮৬৫ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ সম্বলিত ৮টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক-এর ২০তম সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো জোরদার করার লক্ষে ৪৫৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা আন্তঃজেলা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।
বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত এক প্রেসব্রিফিং এ পরিকল্পনা মন্ত্রী এ এইচ এম মুস্তাফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, মোট ২৮৬৫ কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দের মধ্যে ১৫৩৬ কোটি টাকা জাতীয় কোষাগার থেকে এবং ১৩২৮ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য হিসেবে পাওয়া যাবে।
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ হওয়ায় মাথাপিছু আয় ১৩১৪ মার্কিন ডলার থেকে সামান্য বেড়ে ১৩১৬ ডলার হয়েছে।
পরিকল্পপনা কমিশনের মতে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ আগামী ২০১৯ সালে জুন মাস নাগাদ আন্তঃজিলা সড়ক নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজিলাএবং ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।
প্রকল্পের আওতায় সুনামগঞ্জ-নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ-শেরপুর-জামালপুর জেলায় ২১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই ৮০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে।
বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে পাঁচপীর বাজার-চিলমারি বন্দর এবং গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সদরের মধ্যে সংযোগ সড়ক নির্মাণের লক্ষে তিস্তা নদীর ওপর ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গর্ডার ব্রিজ নির্মাণ প্রথম সংশোধন প্রকল্প, ৪২ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে জাতীয় গবাদী পশু ও পোট্রি ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট ও রোগ নির্ণয় গবেষণাগার নির্মাণ দ্বিতীয় সংশোধিত প্রকল্প, ১০২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প, ৮৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মোবারকপুর তেল গ্যাস অনুসন্ধ্যান প্রকল্প, ৭৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নরসিংদি বিসিক শিল্প এলাকা সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং ৫৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ভোলায় মেঘনা নদীর ভাঙ্গন রোধ প্রকল্প।
মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীবর্গ বৈঠকে অংশগ্রহন করেন এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।