স্থানীয় সময় শনিবার আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে চুক্তিতে সমর্থন দেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ সীমিত রাখার প্রস্তাবে সম্মত হওয়া ঐতিহাসিক একটি বিষয়। কারণ জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তন ও উষ্ণতা বৃদ্ধি থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে হলে এইচএফসির নিঃসরণ অবশ্যই কমাতে হবে।
হাইড্রোজেন, ফ্লুরিন এবং কার্বন মৌলের বিক্রিয়ায় সৃষ্ট হাইড্রোফ্লুরোকার্বন (এইচএফসি) গ্যাসগুলোই গ্রিনহাউস গ্যাস নামে পরিচিত। পৃথিবীর উপরিভাগে এই গ্যাসের স্তর বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য অনেকাংশেই দায়ী। সাধারণত ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার (এসি) অ্যারোসলসহ বিভিন্ন পণ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস ব্যবহার হয়।
রুয়ান্ডার প্রাকৃতিকসম্পদমন্ত্রী ভিনসেন্ট বইরুতা আজ শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশের প্রতিনিধিরা রাতভর আলোচনা করে চুক্তিতে সম্মত হন।
রুয়ান্ডায় উপস্থিত থাকা বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা মন্ট্রিয়ল প্রটোকলের ভিত্তিতে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর কর্মপরিকল্পনায় একমত হন।
গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর চুক্তিতে বড় অবদান রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। রুয়ান্ডায় চুক্তি নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকও করেন তিনি।
চুক্তি অনুযায়ী ২০১৯ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলো তাদের গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ ১০ শতাংশ কমাবে। ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ইরাক এবং উপসাগরীয় দেশগুলো গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ ২০২৮ সাল পর্যন্ত কমাবে না। চীন গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানো শুরু করবে ২০২৯ সালে। আর ২০৩২ সালে ভারত গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাবে ১০ শতাংশ।
অনেক বিশ্লেষকের মতে, চুক্তির ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে যতটা প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে, বাস্তবে ততটা হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, এইচএফসি গ্যাস আমাদের জলবায়ুর জন্য বিপজ্জনক।
উল্লেখ্য, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সম্প্রতি এয়ারকন্ডিশনার ব্যবহার বেড়েছে। ফলে বায়ুমণ্ডলে এইচএফসি গ্যাসের পরিমাণ ১০-১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।