অগ্রসর রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার জানিয়েছে, তারা উপসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক শক্তি জোরদারে আরো সৈন্য পাঠাচ্ছে। সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় হামলার জন্যে ইরানকে দায়ী করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ দেয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর সেখানে সৈন্য পাঠানো হচ্ছে। খবর এএফপি’র।
ট্রাম্প বলেন, অন্য যেকোন দেশের তুলনায় এ নিষেধাজ্ঞা এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন করা হলেও এ ক্ষেত্রে তার সামরিক হামলার কোন পরিকল্পনা নেই।
প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় সপ্তাহান্তে তেহরান হামলা চালিয়েছে মার্কিন কর্মকর্তারা এমন কথা জানানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানের কেন্দ্রিয় ব্যাংকের বিরুদ্ধে নতুন করে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তেল স্থাপনায় হামলার কারণে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম তাৎক্ষণিকভাবে অনেক বেড়ে যায়।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক ইস্পার বলেন, এসব হামলার ‘নাটকীয়ভাবে ইরানের আগ্রাসন জোরদারের’ প্রমাণ দেয়। এরআগে গত জুনে ইরান আমেরিকার একটি গোয়েন্দা ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করে।
পেন্টগন প্রধান বলেন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনুরোধের প্রেক্ষিতে উপসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক শক্তি আরো শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে আরো সৈন্য পাঠাবে।
ইস্পার বলেন, ‘সৌদি আরবের অনুরোধের জবাবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেখানে মার্কিন বাহিনী মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছেন।’