ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযথ উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করেছে।
গত রোববার (১৮ মার্চ) দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, শিশুদের খেলাধুলা, কেক কাটা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে ‘পাঠ চক্র’ ইত্যাদি আয়োজন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে দূতালয় প্রাঙ্গণ বর্ণাঢ্য ব্যানার, পোস্টার, রঙিন ফুল ও বেলুনে সুসজ্জিত করা হয়। সকালে হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী দূতালয় প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচকরা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জাতির পিতার জীবনের বিভিন্ন দিক বিস্তারিত তুলে ধরেন।
আলোচনা পর্বে হাইকমিশনার স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শিশুদের গড়ে তুলতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
পরে জাতির পিতার আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। হাইকমিশনার শিশু-কিশোরসহ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন।
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিকেলে শিশু-কিশোররা ব্যানানা রেইস, ব্যালেন্স রেইস, ব্যাকওয়ার্ড রেইস, বল থ্রোয়িং ইত্যাদি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় ছিল ভিন্ন ভাষাভাষী নয়জন শিশু-কিশোরের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ থেকে বাংলা, উর্দু ও ইংরেজিতে ‘পাঠ চক্র’। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থিমের ওপর দুটি এইজ গ্রুপে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
রচনা প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল জুনিয়র গ্রুপের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু’ আর সিনিয়র গ্রুপের জন্য ‘সোনার বাংলা থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ’। সব শেষে সব শিশুসহ বিজয়ীদের মধ্যে আকর্ষণীয় পুরস্কার ও উপহারসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরিবাররা, বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা ও শিশু-কিশোররা দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে শিশুদের পছন্দের খাবার পরিবেশনসহ ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।