অগ্রসর রিপোর্ট: ইলিশা-১ নামের গ্যাস কূপের দ্বিতীয় স্তরের টেস্টিং কার্যক্রম শুরু (পরীক্ষামূলক অগ্নিসংযোগ) করেছে বাপেক্স।
রবিবার ভোরে আগ্নিসংযোগের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় স্তরের কার্যক্রম শুরু করা হয়।
এর আগে শুক্রবার (৫ মে) প্রথম স্তরের সকল টেস্টিং সম্পন্ন করা হয়েছে। তারও আগে গত ৮ মার্চ ইলিশা-১ নামের এ কূপের প্রথম স্তরের খনন কাজ শুরু করে ২৮ এপ্রিল কূপটিতে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পায় বাপেক্স।
বাপেক্স ভূ-তাত্বিক বিভাগেরর জিএম মো. আলমগীর হোসেন জানান, বাপেক্সের তত্ত্বাবধায়নে রাশিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাসপ্রোম এই গ্যস অনুসন্ধানে কাজ করছে। নতুন এই কূপ থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। এবং ১৮০ থেকে দুইশ’ বিসিএফ ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পেতে আরও ৭২ ঘণ্টা টেস্টিং চালাবে বাপেক্স। এই কূপে মজুদের সঠিক তথ্য পেতে তৃতীয় স্তরে টেস্টিং কার্যক্রম শেষে জানা যাবে।
তিনি আরও জানান, এখন টেস্টিং (পরীক্ষা) চলছে, মাটির ৩ হাজার ৪৩৩ মিটার গভীরতায় টেস্টিং এর প্রথম স্তরে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে যা প্রায় ৪ কিলোমিটার বিস্তৃত। এবার দ্বিতীয় স্তরের ৩ হাজার ২৭৫ মিটার গভীরতায় টেস্টিং কার্যক্রম চলছে। এখানে গ্যাসের প্রেশার খুবই ভালো রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ও ভূ-তাত্বিক বিশ্লেষণে ভোলায় আরও ৫টি নতুন কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রে ২টি, ভোলা নর্থ ক্ষেত্রে ২টি এবং ইলিশায় একটি কূপ খনন করা হবে।
প্রসঙ্গত, ভোলার শাহবাজপুর, ভোলা নর্থ ও ইলিশা-১ নামের আলাদা তিনটি গ্যাসক্ষেত্রে ৯টি কূপ খনন করা হয়। এসব কূপে মোট গ্যাস মজুদের পরিমাণ ১.৭ টিসিএফ ঘনফুটের বেশি বলে ধারণা করেছে বাপেক্স।