অগ্রসর রিপোর্ট : ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলায় ৩৪ জন মার্কিন সেনা সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন বলে এতদিন পর জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। শুক্রবার পেন্টাগন জানায়, ৩৪ মার্কিন সেনা আঘাতজনিত মস্তিষ্কের ক্ষত (টিবিআই) ও কনকাসনে আক্রান্ত হয়েছেন। পেন্টাগনের মুখপাত্র জোনাথন হফম্যান এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
যদিও পেন্টাগনের এমন তথ্যের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, পশ্চিম ইরাকে ৮ জানুয়ারি ইরানের হামলায় কোনো মার্কিন নাগরিক হতাহত হয়নি। এছাড়া দাভোসে ইকোনোমিক ফোরামে সাংবাদিকদের কাছে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি শুনেছি সেনারা সামান্য মাথাব্যথায় আক্রান্ত হয়েছেন। বিষয়টি খুবই সামান্য’।
এর দু’দিন পরই ৩৪ মার্কিন সেনা আহতের খবর জানালো মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর। পেন্টাগনের মুখপাত্র বলেন, চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে ১৭ সেনাকে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার তাদের মধ্যে আট জনকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে পেন্টাগন মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াল্টার রিড (ওয়াশিংটনের কাছে সামরিক হাসপাতাল) কিংবা তাদের নিজস্ব ঘাঁটিতে এসব সেনাদের চিকিৎসা চলবে।
কিন্তু জার্মানিতে পাঠানো আক্রান্ত সেনারা সেখানে চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকবে বলে জানিয়েছেন এই মার্কিন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এছাড়াও ১৭ সেনাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তারা ইরাকে নিজেদের দায়িত্বে ফিরে গেছেন।
মার্কিন সেনা আহতের ঘটনা নিয়ে ট্রাম্প মিথ্যা বলায় তাকে অভিযুক্ত করেছেন দেশটির বিরোধী দল ডেমোক্র্যাট দলীয় আইন প্রণেতারা। কংগ্রেস সদস্য ডেব্বি ওয়াসারম্যান সুলটজ বলেন, ট্রাম্প এই আহতের ঘটনাকে তুচ্ছ করে দেখেছেন। টিবিআই আক্রান্ত সেনাদের অর্ধেকের অস্ত্রোপচার দরকার পড়েছে। এতে তারা সারাজীবন প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে পারেন।
গত ৩ জানুয়ারি বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের সবচেয়ে প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। এর প্রতিশোধ নিতে ৮ জানুয়ারি ইরাকের আইন আল আসাদ ঘাঁটিতে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইরাকে সবচেয়ে বড় যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলোর একটি আইন আল-আসাদে জোট বাহিনীর পাশাপাশি দেড় হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। এছাড়াও সেখানে কয়েক হাজার ইরাকি সেনাও রয়েছে।