ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক মানুষ। হামলার পর মিত্র দেশের কাছে ফের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়,ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে আরও সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। অপরদিকে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ অবশেষে একটি বিশাল আকারের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের ওপর ভোটাভুটির ঘোষণা দিয়েছে। এতে ৬১ বিলিয়ন ডলারের দীর্ঘ সময়ের সামরিক সহযোগিতা অন্তর্ভূক্ত থাকছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
শহরের মেয়র ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শহরের কেন্দ্রস্থলে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি আট তলা ভবন সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়। এই হামলায় তিন শিশুসহ ৬০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। খবর বিবিসি।
কিয়েভের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, হামলায় পাঁচটি আবাসিক ভবন, একটি হাসপাতাল, কয়েক ডজন গাড়ি এবং একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চেরনিহিভ রাশিয়ান সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার (৬০ মাইল) দূরে অবস্থিত। ২০২২ রাশিয়ার আক্রমণের শুরুতে চেরনিহিভ অঞ্চলের কিছু অংশ কয়েক সপ্তাহ ধরে দখল করে রেখেছিল রাশিয়া।
এই হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, রুশ হামলা প্রতিহত করতে পশ্চিমা দেশগুলোর উচিত ইউক্রেনকে আরও সহায়তা দেয়া।
তিনি বলেন, ইউক্রেন যদি পর্যাপ্ত বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেত এবং রাশিয়ার সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করার জন্য বিশ্বের দৃঢ় সংকল্প থাকত তবে তারা এভাবে হামলা চালাতে পারত না। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার (৯০ মাইল) উত্তরে অবস্থিত চেরনিগিভ শহরটি। যুদ্ধের আগে ওই শহরের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২ লাখ ৮৫ হাজার।
এদিকে জরুরি সেবা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, তিন শিশুসহ ৬০ জন রুশ হামলায় আহত হয়েছে। শহরের মেয়র ওলেকসান্দর লোমাকো জানিয়েছেন, ডজনখানেকের বেশি ভবন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যান্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডজনখানেক যানবাহন এবং মেডিকেল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।