অগ্রসর রিপোর্টঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেছেন, আশিয়ান দেশসমূহের সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বাড়ানো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান কাক্সিক্ষত বৈদেশিক নীতি।
তিনি বলেন, ‘সার্ক ও বিমসস্টেক-এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে আশিয়ান প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বৃহত্তর সংশ্লিষ্টতা আঞ্চলিক যোগাযোগের উন্নয়ন এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি সহায়তার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রস্থল হতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার এখানে ইন্দোনেশীয় দূতাবাসে তৃতীয় এসোসিয়েশন অব সাউথ-ইষ্ট এশিয়ান নেশন্স (এশিয়ান) পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্ততায় একথা বলেন। আশিয়ান ঢাকা কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, এই সম্পর্কের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ কেবল দুটি ঐতিহাসিক অঞ্চলের মধ্যে একটি সেতুই রচনা করবে না, বরং বিনিয়োগ, বাণিজ্য প্রবাহ ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধি করবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্ধমান অর্থনীতি ও ভৌগোলিক অবস্থান আশিয়ানের সঙ্গে অংশীদারিত্বের জন্য একে প্রাকৃতিক প্রার্থীতে পরিণত করেছে। এ অঞ্চলেই রয়েছে বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় ৯ শতাংশের বাস।’
এ প্রসঙ্গে মাহমুদ আলী বলেন, সংলাপ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশ আশিয়ানের সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বাড়াতে আগ্রহী। কারণ, এই সংস্থা এ অঞ্চলের দেশগুলোকে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বন্ধনে আবদ্ধ করার ক্ষেত্রে সম্মিলিত ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করে।
তিনি আরো বলেন, ‘এতে কোন সন্দেহ নেই যে উন্নয়নশীল বিশ্বে আশিয়ান সর্বাপেক্ষা সফল আঞ্চলিক গ্রুপ। আশিয়ানের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও সন্দেহাতীতভাবে চিত্তাকর্ষক।
মাহমুদ আলী বলেন, আশিয়ান বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধমান ভোক্তা মার্কেট হয়ে উঠার পাশাপাশি এটি উৎপন্ন সামগ্রী ও বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান বৈশ্বিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, ফিলিপাইন্স, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ব্রুনাই দারুসসালাম এর দূতগণ, সিঙ্গাপুরের কনস্যুল এবং আশিয়ান সদস্য দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।