সিলেট প্রতিনিধি : খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন আওয়ামী লীগ কাউকে তোষামোদী করে নির্বাচনে আনবে না। নিজেদের প্রয়োজনেই নির্বাচনে আসতে হবে। সরকার দেশে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামুলক নির্বাচন করতে চায়। নিয়ম অনুযায়ী সরকারের নির্ধারিত মেয়াদ শেষেই পরবর্তি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি ছাড়া এ দেশে নির্বাচন হবে মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি না এলেও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন বানচাল করতে সে সময় বিএনপি-জামায়াত দেশে আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে ছিল। তাদের এসব অপকর্ম জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।
ওই নির্বাচনে জয়ী হয়ে বর্তমান সরকার দায়িত্ব পালন করছে। পুরো ৫ বছরের মেয়াদ শেষেই জাতীয় নির্বাচন হবে। তবে ’১৪ সালের ন্যায় আরেকটি নির্বাচন হোক সেটা সরকার চায় না। তিনি দেশ থেকে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও নৈরাজ্য নির্মল করতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, যারা দেশে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও নৈরাজ্য লালন করে তাদের আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে দেয়া হবে না।
জঙ্গি দমনে পশ্চিমা দেশগুলোর চাইতেও বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সফল বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। জঙ্গি দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সাথে জঙ্গিদের দমন করছে। তাদের একটার পর একটা আস্তানা ধ্বংস করে দিচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলোর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গি দমনে এমন সফল হতে পারেনি।
শনিবার রাতে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, সিলেট আয়োজিত সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস দমনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা ও সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। বিএমএ’র মহাসচিব ডা. ইহতেসামুল হক চৌধুরী দুলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমনা, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সাবেক এমপি সৈয়দা জেবুন্নেছা হক।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি একএম সামিউল হক, বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট রাজ উদ্দিন, জিপি ভিপি অ্যাডভোকেট খাদেমুল মিল্লাত মোহাম্মদ জালাল, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, সিলেট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ চৌধুরী মিশু, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু, জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম নোবেল, ইমাম সমিতির শাহ নজরুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সিটি কাউন্সিলর আফতাব হোসেন।